ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বন্যায় দ্বিগুণ ত্রাণ বরাদ্দের ঘোষণা মন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২১ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
বন্যায় দ্বিগুণ ত্রাণ বরাদ্দের ঘোষণা মন্ত্রীর বক্তব্য দেন ড. মো. এনামুর রহমান

চট্টগ্রাম: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। সাম্প্রতিক সময়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সকল জেলায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাঠানো হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার ত্রাণ সামগ্রী দ্বিগুণ বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) চট্টগ্রাম সার্কট হাউসে আয়োজিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মো. এনামুর রহমান বলেন, বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ক্ষতিগ্রস্তদের সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তাৎক্ষনিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।

কোনো মানুষ যাতে খাবার ও আশ্রয়ে কষ্ট না পায় সেদিকে কর্মকর্তাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন সঠিকভাবে করতে পারলেই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা ত্রাণের উপর নির্ভরশীল হতে চাই না। এ দেশকে দুর্যোগ সহনীয় রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণা অনুযায়ী দেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোনো মানুষ বাস্তুচ্যূত হবে না। ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকটি মানুষকে নিজ নিজ এলাকাতেই সরকারি ব্যয়ে ঘর করে দেয়া হবে।

জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ্ কামাল ও  পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ফয়েজ আহমদ। বক্তব্য দেন, সিভিল সার্জন ডা. মো. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, বিজিবি’র ডেপুটি রিজিয়ন  কমান্ডার কর্নেল মতিউর রহমান।  

সভায় জানানো হয়, এবার চট্টগ্রাম জেলার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৯০০ মেট্রিক টন চাল, ৮ হাজার ৪৪০টি শুকনো খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়। নগদ অর্থ দেওয়া হয় ১৮ লাখ টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামত ও নির্মাণের জন্য ২০০ বান্ডিল ঢেউ টিন ও গৃহ নির্মাণ মঞ্জুরি হিসেবে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।