মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেলে কর্ণফুলী নদীর চাক্তাই অংশে অভিযান চালিয়ে এসব পোনা ও পোনা ধরার সামগ্রি জব্দ করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম।
ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম বাংলানিউজকে বলেন, উপকূলীয় জলাশয় থেকে চিংড়ির পোনা ধরা এবং সংরক্ষণ ‘মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধিমালা-১৯৮৫’ অনুযায়ী অপরাধ। আইন লঙ্ঘন করে পোনা ধরা ও সংরক্ষণের দায়ে পোনা বিক্রেতা রুবেল হোসেন এবং ইকবাল হোসেনকে ৫ হাজার করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জব্দ করা ৪০ হাজার চিংড়ি পোনা কর্ণফুলী নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া পোনা ধরার সামগ্রি হিসেবে ব্যবহৃত ২০টি জাল এবং ৪০টি ড্রাম ঘটনাস্থলে ধ্বংস করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এসব জেলে ও ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগই খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলের। সাতক্ষীরা থেকে বর্ষা মৌসুমে চট্টগ্রাম এসে তারা ৩ মাস পোনা ধরে। এরপর সাতক্ষীরার বিভিন্ন চিংড়ি ঘেরে পোনা পাঠিয়ে দেয়। তবে সবচেয়ে শঙ্কার বিষয়, তারা ১টি চিংড়ি পোনা ধরতে কমপক্ষে ১০০টি অন্য মাছের পোনা মেরে ফেলে।
অভিযানে জেলা মৎস দফতরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ফারহানা লাভলী, উপ সহকারী পরিচালক সৈকত শর্মাসহ কোস্ট গার্ড এবং পুলিশের সদস্যরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯
এমআর/টিসি