সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে নগরের আউটার স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।
মশক নিধন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আউটার স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় ক্যামিক্যাল স্প্রে এবং ব্লিচ পাউডার ছিটানোসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন তিনি।
এর আগে সকালে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ থেকে র্যালি বের করা হয়।
মো. আবদুল মান্নান বলেন, এডিস মশার কামড়ে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকে অকালে মৃত্যুবরণ করছে। অনেকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাঁচতে হলে এডিস মশা নিয়মিত নিধন করতেই হবে।
তিনি বলেন, ঘর ও আশপাশের যে কোন পাত্রে বা জায়গায় জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার করলে এডিস মশার লার্ভা মরে যায়। ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারনে পাত্রটি ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। যে কোনো উপায়ে এডিস মশা ধ্বংস করতে হবে।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত জ্বর। যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। সাধারণ চিকিৎসাতেই ডেঙ্গু সেরে যায়, তবে হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর মারাত্বক হতে পারে। এডিস মশার বংশ বৃদ্ধি রোধের মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করা যায়। এ বিষয়ে প্রত্যেককে সচেতন থাকতে হবে।
এ সময় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নুরুল আলম নিজামী, স্থানীয় সরকারের বিভাগীয় পরিচালক দীপক চক্রবর্ত্তীসহ বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য অধিদফতর, সিটি করপোরেশন, ফায়ার স্টেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সারাদেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়তে থাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতা বাড়াতে চট্টগ্রামে র্যালি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগর ছাড়াও চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) র্যালি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
এমআর/এসি/টিসি