ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘জনতার মুখোমুখি হতে মানসিক দৃঢ়তা ও সাহস আছে’

তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
‘জনতার মুখোমুখি হতে মানসিক দৃঢ়তা ও সাহস আছে’

চট্টগ্রাম: জনতার মুখোমুখি হতে যে মানসিক দৃঢ়তা ও সৎ সাহস সেটি আমার আছে। আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক সহযোগিতায় চার বছরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে আমি যে জায়গায় নিয়ে আসতে পেরেছি এবং নগরবাসীর সেবা যতটুকু  নিশ্চিত করতে পেরেছি এটিতেই আমার সাফল্য।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ১০টায় নগরের জামালখানের রীমা কনভেনশন সেন্টারে ‘জনতার মুখোমুখি মেয়র’ শীর্ষক অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে এসব কথা বলেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কী করবো সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে, আবার জনগণ কী ধারণা পোষণ করে, কোন ধরনের নগর প্রত্যাশা করে এটা জানতেই এ আয়োজন।

মেয়র বলেন, জনগণের যে প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা সেটা আমি অনেকটা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। সে কারণে আমার মধ্যে কোনো দুর্বলতা নেই।

নগরবাসীর সেবা কীভাবে প্রদান করতে পারি সেটার সম্পর্কে ধারণার জন্য এ অনুষ্ঠান।

তিনি বলেন, জনগণই আসলে সকল ক্ষমতার উৎস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নগণ্য কর্মী হিসেবে উনার মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গি নিজের মধ্যে ধারণ করার চেষ্টা করি। রাজনীতিবিদ হিসেবে আমি মনে করি, সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ। যেকোনো পরিস্থিতি, পরিবেশে জনতার মুখোমুখি হওয়া নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে মনে করি।

গ্রিন ও ক্লিন সিটি সম্পর্কে মেয়র বলেন, এটা একটা লক্ষ্য। একটা ভিশন। যে নগরে আমরা বসবাস করছি সেটিকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। আপনারা যদি আমার ওপর আস্থা রাখেন তবে এ নগরকে সত্যিকার অর্থে গ্রিন ও ক্লিন সিটি করতে চেষ্টা করবো। শহরের গোলচত্বর, মিড আইল্যান্ডগুলোর সৌন্দর্যবর্ধন ও সবুজায়ন করছি। এটি চলমান প্রক্রিয়া। অনেক জায়গায় দৃশ্যমান পরিবর্তন হয়েছে। আগামী ৫-৬ মাসের মধ্যে আরও দৃশ্যমান হবে। নগরের আবর্জনা অপসারণে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে পেরেছি। দিনের পরিবর্তে রাতে ময়লা অপসারণ কার্যক্রম নিয়ে এসেছি। দিনে ময়লা অপসারণে আগে যে পরিবেশ দূষিত হতো, মানুষ যে দুর্ভোগ পোহাতো সেটি এখন নেই।

নগরে বসবাসকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ময়লা-আবর্জনার পরিমাণও বেড়েছে। আগে নগরে সাড়ে ১৩শ’ ডাম্পিং পয়েন্ট ছিল। বিমানবন্দর থেকে আসার পথে সিমেন্ট ক্রসিং, বন্দরটিলা, ইপিজেডের মুখে, হালিশহর, সল্টগোলা, দিদার মার্কেট, স্টেশন রোড, আমতলসহ অনেক জায়গায় ময়লার স্তূপ দেখা যেতো। দিনেও দেখা যেতো, রাত্রেও দেখা যেতো। সারা মাসব্যাপী দেখা যেতো। এখন চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলবো এটি আর দেখা যায় না। এটিও ক্লিন সিটির পক্ষে সহায়ক।

বিভিন্ন সেবা সংস্থা, সরকারের উন্নয়ন বা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে ধুলোবালির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ উন্নয়ন জনগণের জন্য। এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য রাস্তা কাটাকাটি হচ্ছে সেখানে ধুলোবালি উড়ছে। এসব ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন হলে সবকিছু সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।

তিনি বলেন, আমি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অভ্যন্তরীণ ও নগরের যে চিত্র ছিল এখন কিন্তু পুরোপুরি পরিবর্তন হয়ে গেছে। এটার পেছনে সফল সরকার প্রধান, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক সহযোগিতা ও ভূমিকা মুখ্য হিসেবে কাজ করেছে। সিটি করপোরেশনে ৩০-৪০ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি আমার ৪ বছরে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে। এর অধিকাংশ প্রকল্প সহায়তা। যা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পেয়েছি। এর মধ্যে  ১২৩০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পেয়েছি। ওই একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, চট্টগ্রাম  সিটি করপোরেশনের আয় ও প্রশাসনিক ব্যয়ের পর উদ্বৃত্ত ১০-১৫ কোটি টাকার বেশি নয়। প্রকল্পে যদি সিটি করপোরেশনকে প্রস্তাবিত ২০ শতাংশ ম্যাচিং ফান্ড দিতে হয় সম্ভব নয়। এর পর  জিরো ম্যাচিং ফান্ড করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এটি নগরবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) চসিক মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের চার বছর পূর্ণ হবে। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৩৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী মেয়র ৬ মে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে শপথ নেন। আইনি জটিলতা পেরিয়ে আ জ ম নাছির উদ্দীন মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ওই বছরের ২৬ জুলাই।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।