বুধবার (২৪ জুলাই) ভোররাত থেকে লাইটার শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেন।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলম বাংলানিউজকে জানান, ১১ দফা দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন নৌযান শ্রমিকরা।
তিনি জানান, বিকেল চারটায় স্ট্র্যান্ড রোডের বাংলাবাজার ঘাট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করবেন শ্রমিকেরা।
বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি নবী আলম বাংলানিউজকে জানান, কর্ণফুলীতে প্রায় দেড় হাজার লাইটার জাহাজ, বার্জ, অয়েল ট্যাংকার অলস বসে আছে শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, বহির্নোঙরে পণ্য খালাসে কিছুটা বিঘ্ন ঘটলেও বন্দরের মূল জেটিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বন্দরের বহির্নোঙরে ৩৯টি জাহাজে পণ্য খালাস হয়েছিল। এর মধ্যে ৪টি খাদ্যশস্য, ১৯টি সাধারণ পণ্য, ১১টি সিমেন্ট ক্লিংকার, ১টি চিনি, ১টি লবণ ও ৩টি তেলবাহী জাহাজ ছিল। ২২টি জাহাজ অপেক্ষমাণ ছিল।
পণ্য পরিবহনে খরচ কমাতে শিল্পোদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা বিদেশ থেকে বড় জাহাজে লবণ, পাথর, কয়লা, চিনি, চাল, ডাল, ছোলা, সিমেন্ট ক্লিংকার, তেল ইত্যাদি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে (সাগরে) নিয়ে আসা হয়। সেখানে বড় জাহাজের পাশে ছোট (লাইটার) জাহাজ বেঁধে ক্রেনের সাহায্যে খালাস করে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন নদী বন্দর ও কর্ণফুলীর ঘাটে নিয়ে আসা হয়। কর্ণফুলী নদীর চ্যানেলের গভীরতা কম থাকায় বন্দরের মূল জেটিতে বড় জাহাজগুলো ভিড়তে পারে না।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
এআর/টিসি