ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৬ মাসে চট্টগ্রাম বিআরটিএতে চার হাজার মামলা

মিজানুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১২ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
৬ মাসে চট্টগ্রাম বিআরটিএতে চার হাজার মামলা

চট্টগ্রাম: সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ফিটনেসবিহীন যানবাহন এবং লাইসেন্সবিহীন চালকের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম জোরদার করেছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)।

গেলো ৬ মাসে বিআরটিএ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় ৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে ৩ হাজার ৮১০ মামলায় ১ কোটি ৪ লাখ ১২ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।  

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাস সময়ে নগরের বিভিন্ন স্থানে পরিচালনা করা এসব অভিযানে জরিমানা ছাড়াও ১৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ৫৯৩টি গাড়ির কাগজপত্র জব্দ করা হয়।

নগর পরিকল্পনাবিদরা বিআরটিএর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে সংস্থাটিকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি নিরাপদ সড়কের জন্য নাগরিকদের আরও সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তরা।

বিআরটিএ সূত্র জানায়, সংস্থাটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত ১১, ১২ এবং ১৩ পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল হক মীর ভ্রাম্যমাণ আদালত-১১, ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক ভ্রাম্যমাণ আদালত-১২ এবং ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা ভ্রাম্যমাণ আদালত-১৩ পরিচালনা করেন।

বিআরটিএর কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, সংস্থাটির ভ্রাম্যমাণ আদালত গত ছয় মাসে ৩ হাজার ৮১০টি মামলায় ১ কোটি ৪ লাখ ১২ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।

এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৯৬৫ মামলায় ১৮ লাখ ৮০ হাজার ২০০, ফেব্রুয়ারিতে ৮৭০ মামলায় ১৭ লাখ ৩৩ হাজার ৮৫০, মার্চে ৫৩৪ মামলায় ১৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৫০, এপ্রিলে ৬৩৩ মামলায় ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৫০০, মে'তে ৪৪৪ মামলায় ২২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৫০ এবং জুনে ৩৬৪ মামলায় ১৫ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক বাংলানিউজকে জানান, অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করা আমাদের মূল উদ্দেশ্য নয়। অভিযানের মাধ্যমে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি আমরা চালক-মালিক-যাত্রী-পথচারী সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। নিরাপদ সড়ক তৈরিতে সবাইকে আইন মানতে উদ্বুদ্ধ করছি।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য সড়ককে আরও নিরাপদ করতে অবৈধ, মেয়াদোত্তীর্ণ, কাগজপত্রবিহীন যানবাহন এবং লাইসেন্সবিহীন চালকের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।