দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে নিষেজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করলেও এ বছর বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার থেকে প্রায় জেলেরা বিরত থেকেছেন। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় আইন অমান্য করে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে তেমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
মৎস্য অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক বজলুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, ৬৫ দিন জেলেদের মনিটরিং করেছি। প্রতি সপ্তাহে তাদের সঙ্গে মিটিং করে সচেতন করেছি।
দীর্ঘদিন মাছ ধরা থেকে বিরত থাকায় এবার সবচেয়ে বেশি মাছ পাওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন মৎস অধিদফতরের কর্মকর্তারা। কয়েকজন জেলে জানান, ইলিশ প্রজনন মৌসুমে এ বছর কোনো জেলে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাননি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জেলেরা খুশি মনে মাছ শিকার থেকে বিরত ছিলেন। প্রজনন মৌসুমের সুফল তাই জেলে এবং আড়তদাররাই পাবেন।
অনেক জেলের অভিযোগ, মৎস্য শিকারিদের বিশাল একটি অংশ পরিচয়পত্র পাননি। তবে এ ব্যাপারে বিভাগীয় উপ-পরিচারক বজলুর রশিদ জানান, যাদের পরিচয়পত্র নেই তারা চট্টগ্রামের বাইরের অধিবাসী। সাধারণত স্ব স্ব জেলার মৎস্য কর্মকর্তারা পরিচয়পত্র ইস্যু করেন। এ ক্ষেত্রে ওই এলাকার স্থায়ী অধিবাসী হতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
জেইউ/টিসি