ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

২১ কোটি টাকায় কিচেন মার্কেট তৈরি করছে চসিক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
২১ কোটি টাকায় কিচেন মার্কেট তৈরি করছে চসিক বক্তব্য দেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম: নগরের হালিশহর ফইল্যাতলী বাজারে সিটি করপোরেশনের বহুতল আধুনিক কিচেন মার্কেটের নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই)। ৩০ দশমিক ৮৪ গণ্ডা জমির ওপর ভবনটি নির্মিত হবে। ১০তলা ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২০ কোটি ৬৯ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।

বিএমডিএফের ২টি প্রকল্প নিয়ে সোমবার (২২ জুলাই) চসিক সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময়কালে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এ তথ্য জানান।

মতবিনিময় করেন বিএমডিএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হাসিনুর রহমান, প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, স্থপতি মুস্তাসিন মাহমুদ খান,  প্রকৌশলী এমডি আশরাফুজ্জামান, সুপারভিশন ইঞ্জিনিয়ার আলামিন, প্রকৌশলী মো. ইব্রাহিম, প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহরিয়ার ফজল প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন চসিক কাউন্সিলর নুরুল হক, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবয়াক প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, প্রকৌশলী গোফরান উদ্দিন, অলি আহমদ, আগ্রাবাদ কমপ্লেক্সের ঠিকাদার প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিন, ফল্ল্যাতলী বাজার কিচেন মার্কেটের ঠিকাদার প্রকৌশলী ফয়সাল আকতার চৌধুরী, প্রকৌশলী মো. আবুল খায়ের প্রমুখ।

প্রজেক্টরের মাধ্যমে ফল্ল্যাতলী বাজার কিচেন মার্কেট ও আগ্রাবাদ কমপ্লেক্সের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন চসিকের সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান এ কিচেন মার্কেট ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের ৯০ শতাংশ বিশ্ব ব্যাংকের এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডা) থেকে ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে।

এর মধ্যে ৮০ শতাংশ মঞ্জুরিকৃত। বাকি ১০ শতাংশ চসিক তার নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করবে। প্রকল্পের সার্ভিস চার্জ ধরা হয়েছে ১ দশমিক ৫ শতাংশ ও ইন্টারেস্ট ৫ শতাংশ হারে। ২০২০ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এছাড়া ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদে ৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫ তলা ভিত্তির ওপর ৫ তলা মাল্টিপারপাস বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করবে চসিক।

মেয়র বলেন, নগরের মূল সড়কসহ অলি-গলিতে ভ্রাম্যমাণ বাজার বসে যানজট, অপরিচ্ছন্নতাসহ নানামুখী জটিলতা সৃষ্টি করছে। এসব সমস্যা নিরসনে জনগুরুত্বপূর্ণ ৪টি স্থানে প্রকল্প নিয়েছে চসিক। এর জন্য ৪ জন কনসালটেন্টও নিয়োগ করা হয়। বৈরী অবস্থা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কোনো অজুহাত দিয়ে কোনো লাভ হবে না, প্রতিটি মুহূর্ত আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই সময় অপচয় করা যাবে না। কাজের গুণগতমান বজায় রেখে সময়ের মধ্যে কাজ করার জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।

সৈয়দ হাসিনুর রহমান বলেন, চসিকের উন্নয়ন সহযোগী হতে পেরে এমডিএফ গর্বিত। বিশ্বব্যাংকের টাকায় প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে আমরা সচেষ্ট থাকবো। একইসঙ্গে কাজের মানে আপস করা যাবে না। প্রকল্প সঠিক সময়ে সুন্দরভাবে সম্পন্ন হলে চসিকের আরও অনেক উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক।

আগামী সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল প্রকল্প কাজ পরিদর্শনে আসবে। ওই সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ আশানুরূপ বাস্তবায়ন হলে আগামীতে আরও প্রকল্প আসবে তিনি প্রত্যাশা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৯
এআর/টিসি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।