ঢাকা, সোমবার, ২২ আষাঢ় ১৪৩২, ০৭ জুলাই ২০২৫, ১১ মহররম ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এক টাকা ব্যয়ের হিসাবও দিতে হবে: বিভাগীয় কমিশনার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০:৫৩, জুলাই ২৩, ২০১৯
এক টাকা ব্যয়ের হিসাবও দিতে হবে: বিভাগীয় কমিশনার বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান

চট্টগ্রাম: যে সব প্রকল্পে সরকারি এক টাকার সম্পৃক্ততা আছে, সে টাকা কি করা হয়েছে, কোথায় গেছে, সঠিক খাতে ব্যয় হয়েছে কী না- তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।

তিনি বলেছেন, সরকারি প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করা হচ্ছে কী না- তা তদারকি করা হবে। লোহার পরিবর্তে বাঁশ দিয়ে ঢালাই, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক, বিল্ডিং, সেতু, কালভার্ট নির্মাণ- কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না।

দেশের উন্নয়নে সরকারের যে সব প্রকল্প চলমান রয়েছে সেগুলোর কাজ যাতে সন্তোষজনক হয়- সে দিকে নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে।

সোমবার (২২ জুলাই) বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় আয়োজিত মাসিক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এতে বিগত সভার সিদ্ধান্ত ও অগ্রগতি তুলে ধরেন বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মুহাম্মদ ইনামুল হাসান ও মো. মোজাম্মেল হক।

মো. আবদুল মান্নান বলেন, সরকারি টাকা অপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। সরকারের প্রতিটি প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করা হচ্ছে কী না- তা তদারকি করা হবে। দুর্নীতিতে জড়ানো যাবে না। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সবাই সততা, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করলে দেশ আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর, সিডিএ, সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, গণপূর্ত, এলজিইডি, সওজ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা পরিষদ, স্বাস্থ্য, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, সমাজসেবা, বন, প্রাণি সম্পদ, মৎস্য, সমবায়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসসহ প্রতিটি সরকারি দফতরের কার্যক্রম দৃশ্যমান করতে হলে প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করতে হবে।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, মাদক একটি ভয়াবহ ব্যাধি। পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে সড়ক ও নৌ পথ দিয়ে মাদক পাচার করছে। মাদকের কারণে আমাদের যুব সমাজ ধবংস হয়ে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্ম মাদকে জড়িয়ে পড়ছে। মাদক যাতে সীমান্ত অতিক্রম করে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

মো. আবদুল মান্নান বলেন, মাদক, চোরাচালান, ছিনতাই, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি, জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও অন্যান্য কারনে প্রতিনিয়ত থানা কিংবা আদালতে মামলা দায়ের হচ্ছে। তবে আদালতে বিচারক সংকটসহ বিভিন্ন কারনে মামলার জট লেগে আছে। মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি না হওয়ার কারণে বাদি-বিবাদিরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। মামলা মাথায় নিয়ে কোনো মানুষকে যাতে কবরে যেতে না হয় সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আদালতের বিচারক, পিপি ও সংশ্লিষ্টদের দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করতে হবে।

সভায় সিটি কর্পোরেশন, সিডিএ, বন্দর, ওয়াসা, এলজিইডি, সওজ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আরও গতিশীল করাসহ লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন বিভাগীয় কমিশনার। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম নগরে একটি স্মৃতিশোধ নির্মাণ ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য সিটি করপোরেশন কর্তৃক ফ্ল্যাট বা আশ্রায় কেন্দ্র নির্মানের জন্য সিটি মেয়রের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

সভায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, স্থানীয় সরকারের পরিচালক দীপক চক্রবর্তী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৯
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।