ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পতেঙ্গার লালদিয়ায় বন্দরের উচ্ছেদ অভিযান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৯
পতেঙ্গার লালদিয়ায় বন্দরের উচ্ছেদ অভিযান লালদিয়ায় বন্দরের উচ্ছেদ অভিযান। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: পতেঙ্গা বিমানবন্দর সড়কের লালদিয়ায় কর্ণফুলীর পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ২৫ একর জায়গা উদ্ধার করে আমদানি-রফতানি পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের জন্য লাইটার জেটি বানাবে বন্দর।

নির্ধারিত সময়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ এলাকায় লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয়। অভিযানের নোটিশ পেয়ে অনেকে স্থাপনা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নেন।

কেউ কেউ বিলাপ করে কাঁদতে থাকেন সর্বস্ব হারিয়ে।

সোমবার (২২ জুলাই) বন্দর ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম বাড়ৈ এর নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।

 লালদিয়ায় বন্দরের উচ্ছেদ অভিযান।  ছবি: বাংলানিউজ তিনি জানান, শান্তিপূর্ণভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় জনগণের সহায়তায় অভিযান চলছে। ৬০ জন পুলিশ, ৩০ জন আনসার ও ৬০ জন শ্রমিক ও ৫টি লংবুম স্কেভেটার, ১টি পে লোডার রয়েছে।

উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আলমগীর হাসান বাংলানিউজকে জানান, ১২-১৩ নম্বর ঘাটের মাঝখানে ১৩০ পরিবার উচ্ছেদ করা হবে। যাদের সামর্থ্য আছে তারা ঘরবাড়ি ভেঙে নিয়ে যাচ্ছে।

উচ্ছেদের শিকার মাইনুর বেগম (২৭) জানান, ২২ বছর ধরে আছি। ঘর বানাতে ১০ লাখ ৬০ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। ৩ বছর আগে ঘর বানিয়েছি। স্বামীর চাকরিও চলে গেছে। পথের ভিখারি হয়ে গেছি। এক পুলিশের কাছ থেকে ১ গণ্ডা ২ কড়া ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় জমিটি কিনেছিলাম।

 লালদিয়ায় বন্দরের উচ্ছেদ অভিযান।  ছবি: বাংলানিউজ নাসিমা আকতার (২৮) জানান, স্বামী তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করে। ঘর বানাতে সব সম্পদ গেছে। সাড়ে ১৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখন সব শেষ।

মো. আবদুর রহমান (৩৫) জানান, ৯ সদস্যের পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছি। ক্ষয়ক্ষতি কমাতে মালপত্র ভাড়াঘরে নিয়ে গেছি। ক্ষতিপূরণ চাই আমরা।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এস্টেট অফিসার মো. জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, অভিযানে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও স্থানীয় জনসাধারণের সর্বোচ্চ সহযোগিতা পেয়েছি আমরা। একইভাবে সর্বোচ্চ সহনশীলতাও দেখিয়েছি আমরা। প্রথম দিন প্রায় ২০ একর জমির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সকাল থেকে পুনরায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে।

তিনি জানান, উচ্ছেদ করা জায়গায় লাইটার জেটি করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রাথমিকভাবে। এটি হলে নগরের যানজট কমবে। লাইটার জেটি থেকে পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলো আউটার রিং রোড ধরে বেরিয়ে যেতে পারবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।