ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডেঙ্গুর প্রকোপ, মশা জরিপ হবে চট্টগ্রামে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৮ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
ডেঙ্গুর প্রকোপ, মশা জরিপ হবে চট্টগ্রামে প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম: ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত ও মশাবাহিত রোগ থেকে বাসিন্দাদের মুক্ত রাখতে মশার ওপর জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করবে সিভিল সার্জন কার্যালয়।

আগামী মাসে এ কার্যক্রম শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।

এর আগে ২০১৭ সালে মশার ওপর জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় চট্টগ্রামে।

তবে ২০১৮ সালে জরিপ হয়নি।

এ বছর মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামেও জরিপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা।

ঢাকা থেকে টিম এসে এ জরিপ কার্যক্রম তদারকি করবে।

সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, সম্প্রতি মশার উপদ্রব বেড়েছে। মশাবাহিত রোগব্যাধি থেকে বসবাসকারীদের রক্ষা করতে আমাদের নজরদারি রয়েছে। এর অংশ হিসেবে মশার ওপর জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, জরিপে কোন প্রজাতির মশার উপদ্রব বেশি তা নির্ণয় করা হবে। বিশেষ করে এডিস মশার উপদ্রব জানতে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

ডা. সিদ্দিকী বলেন, জরিপে কোন কোন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ সেটিও উঠে আসবে। এরপর সিটি করপোরেশন সে অনুযায়ী মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ এনতেজার ফেরদৌস বাংলানিউজকে বলেন, নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে একটি করে এলাকা চিহ্নিত করা হবে। প্রতি এলাকায় ১০টি বাড়িতে টিম যাবে।

‘প্রতি টিমে কীটতত্ত্ববিদ, কীট টেকনিশিয়ান ও তথ্য সংগ্রহকারী থাকবে। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশার লার্ভা সংগ্রহ করবে। পাশাপাশি বাড়িতে পরিত্যক্ত অবস্থায় কৌটা, খালি টিন, টায়ার পড়ে আছে কিনা তাও দেখবে।

কীটতত্ত্ববিদ এনতেজার ফেরদৌস বলেন, জরিপে এডিস মশার লার্ভা সংগ্রহের পাশাপাশি কিউলেক্স ও এনোফিলিস মশার লার্ভাও সংগ্রহ করা হবে।

এদিকে জুলাইয়ে চট্টগ্রামে ১৯ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া জুনে ও ফেব্রুয়ারি মাসে আরও ২ জন রোগী শনাক্ত হয়।

ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ৪১টি ওয়ার্ডে চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। মশক নিধনে এবার ২ কোটি টাকার ২৫ হাজার লিটার এডাল্টিসাইড, ১০ হাজার লিটার লার্ভিসাইড ছিটানো হবে।

চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে সতর্কতা ও সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলরদের নিয়ে উদ্বুব্ধকরণ প্রোগ্রাম আয়োজন করা হচ্ছে।

অন্যদিকে সিভিল সার্জন কার্যালয় ডেঙ্গু প্রতিরোধে ১৫টি উপজেলা তদারকির জন্য কন্ট্রোল রুম করেছে। নগরে অবস্থিত ৯টি আরবান ডিসপেনসারিতে ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষ সতর্কতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
এসইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।