ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ২০ দিনে ৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৬ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
চট্টগ্রামে ২০ দিনে ৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম: জুলাই মাসের প্রথম ২০ দিনে চট্টগ্রামে ৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এসব রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ ছাড়া চলতি বছরের জুনে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ১ জন এবং ফেব্রুয়ারি মাসে বেসরকারি রয়েল হাসপাতালে ১ জন রোগী শনাক্ত হয়।

চমেক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আক্রান্তরা হলেন- আবদুল আজিজ (৫৫), মেহেদি হাসান (২৭), মো. নাজিম (১৮), মো. হাসান (৪০), মো. ফরিদ (৪৫), বিবেক ঘোষ (২৫), আশরাফুল হক (২২) ও নুরুল রহিম (১৯)।

এর মধ্যে আবদুল আজিজ, মেহেদি হাসান ও মো. নাজিম সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। বাকিদের হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

চমেক হাসপাতাল উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, চলতি মাসে ৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদের হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

মেডিসিন বিভাগের প্রধান অশোক কুমার দত্ত বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

‘জুলাইয়ের প্রথম ২০ দিনে ৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর কয়েকজন সুস্থ হয়েছেন। তাদেরকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ৪১টি ওয়ার্ডে চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। মশক নিধনে এবার ২ কোটি টাকার ২৫ হাজার লিটার এডাল্টিসাইড, ১০ হাজার লিটার লার্ভিসাইড ওষুধ কিনেছে চসিক। ফগার মেশিনের সাহায্যে এডাল্টিসাইড ওষুধ ধোঁয়া আকারে ছিটানো হবে। হ্যান্ড স্প্রে মেশিনের সাহায্যে ১০ লিটার পানিতে ১০ সিসি লার্ভিসাইড ছিটানো হবে।

চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে সতর্কতা ও সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলরদের নিয়ে উদ্বুব্ধকরণ প্রোগ্রাম আয়োজন করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে চসিকের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকদের ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষভাবে সতর্কতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এসব চিকিৎসাকেন্দ্রে এখনো কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।

চট্টগ্রামর সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ১৫টি উপজেলা তদারকির জন্য কন্ট্রোল করা হয়েছে। এ ছাড়া নগরে সিটি করপোরেশন তদারকি করছে। তবুও নগরে অবস্থিত ৯টি আরবান ডিসপেনসারিতে ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষ সতর্কতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মূলত বর্ষায় ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়ে। এডিস মশা ডেঙ্গু ছড়াতে সাহায্য করে।

ডেঙ্গুর লক্ষণ সম্পর্কে তারা জানিয়েছেন, হঠাৎ উচ্চমাত্রা ও কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা। তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে। মাংসপেশি, হাড় ও চোখের পেছন দিকে ব্যথা থাকবে। শরীরে র‌্যাশ দেখা দিতে পারে। প্রচণ্ড দুর্বলতা, অরুচি, মাথা ঘোরা, পেটে ব্যথা ইত্যাদি থাকবে।

চিকিৎসকরা জানান, ডেঙ্গু জ্বর শনাক্তের পর রোগীর অবস্থা ভালো থাকলে পূর্ণ বিশ্রামের পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করতে হবে। ভেজানো কাপড় দিয়ে বারবার শরীর মুছতে হবে। পাশাপাশি প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়ানো যাবে। তবে রোগীর অবস্থা খারাপ হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৯
এসইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।