ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে যানজট বন্দরের কারণে নয়: বন্দর চেয়ারম্যান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৯
চট্টগ্রামে যানজট বন্দরের কারণে নয়: বন্দর চেয়ারম্যান

চট্টগ্রাম: সাম্প্রতিক জলাবদ্ধতা, পোর্ট কানেকটিং (পিসি) সড়ক সংস্কার, বারিক বিল্ডিং থেকে ফকিরহাট পর্যন্ত ওয়াসার পাইপ লাইন ও সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের জন্য মূল সড়ক সংকুচিত হয়ে যানজট বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ।

শনিবার (২০ জুলাই) বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বন্দর চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ১০-১২ দিন নগরে টানা বৃষ্টির কারণে বন্দরের বাইরে বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

এতে চট্টগ্রাম ও বন্দর সংলগ্ন সড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সড়কে বড় বড় গর্তের কারণে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।
বন্দরে ট্রাক, ট্রেইলার ও কাভার্ডভ্যান ঢোকার বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বন্দরের বাইরে যানজটের সৃষ্টি হয়। যা কোনো অবস্থাতেই চট্টগ্রাম বন্দরের কারণে সৃষ্টি হয়নি। এ সময় বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি ৪ হাজার টিইইউসের (২০ ফুট দীর্ঘ হিসেবে) কম ছিল। তাই তীব্র যানজটের জন্য মূলত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্দরের যানবাহন ও গণপরিবহনের একই সড়কে চলাচল ও শহরের জন্য বিকল্প সড়ক তৈরি না হওয়াকে চিহ্নিত করা যায়।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর পর গত ৬ মে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৬০০ টিইইউ'স কনটেইনার ও কার্গো ডেলিভারি হয়। রমজানে গত ১২ জুলাই ৪ হাজার ৮০০ টিইইউ'স  কনটেইনার ডেলিভারি হয়। এসব সময়ে বন্দরের বাইরে তীব্র যানজট দেখা যায়নি।

বন্দর চেয়ারম্যান জানান, বন্দরে প্রতিদিন ৭ হাজার ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও ট্রেইলার ঢোকে। আইএসপিএস কোডের শর্ত অনুযায়ী এসব গাড়ি, চালক ও সহকারীর পরিচয় নিশ্চিত করতে ডাটাবেজ তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৩২ হাজার ৭৬৯ জন চালক-সহকারী ডাটাবেজভুক্ত হয়েছেন। ২৯ হাজার ৭৬৯ জনকে ডিজিটাল পাস দেওয়া হয়েছে। সহকারীর বয়স ১৩-১৫ হলে শ্রম আইন মেনে বন্দরের প্রবেশে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এ ছাড়া ১৭টি বেসরকারি অফডকের ট্রেইলার ২৪ ঘণ্টা চলাচলের ডাটাবেজ সম্পন্ন হয়েছে।

ডাটাবেজ তৈরির কাজ ত্বরান্বিত করতে বন্দরের গেটগুলোর পাশাপাশি সুবিধাজনক স্থানে এ কার্যক্রম শিগগির শুরু করবেন জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, ডাটাবেজের জন্য আরও বুথ বাড়ানো হবে, ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সমন্বয় সভা চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, ট্রাক টার্মিনাল না থাকায় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার গাড়ি বন্দরে ঢোকার জন্য বিভিন্ন গেট ও মূল সড়কে অবস্থান করে। পাস নেওয়ার জন্য সিঅ্যান্ডএফ গেট স্লিপ, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জাতীয় পরিচয়পত্র / অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ না থাকায় গেট পাস নিতে দেরি হয়।

যানজট নিরসনে সম্মিলিতভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বন্দরের বাইরের তীব্র যানজট নিরসনে নগরের জন্য প্রস্তাবিত দুইটি রিং রোড বাস্তবায়ন জরুরি।   একটি হলো আগ্রাবাদ এক্সেস রোড-বড়পুল-আনন্দবাজার-ইপিজেড সড়ক। অন্যটি জিইসি-সাগরিকা-বেড়িবাঁধ সড়ক। এ সড়ক দুইটি দ্রুত হলে চট্টগ্রাম শহরের লাইফ লাইন খ্যাত এয়ারপোর্ট-আগ্রাবাদ-লালখানবাজার সড়কে যানজটের তীব্রতা কমে আসবে। বন্দরের পক্ষ থেকে যানজট নিরসনে বে টার্মিনাল ইয়ার্ড নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করেছে। সেখানে এফসিএল কনটেইনারের পণ্য ডেলিভারির পাশাপাশি একটি আধুনিক ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ করছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন্দরের সদস্য (প্রশাসন) জাফর আলম, সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন), পরিচালক (নিরাপত্তা), সচিব ওমর ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।