সরেজমিন দেখা গেছে, জোয়ারের সময় যাত্রী পারাপারের নৌকাগুলো ঘাটে ভিড়তে পারলেও ভাটার সময় কাদায় আটকে যায়। বিশেষ করে সকালে ভাটা চলাকালে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
চাক্তাই থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীর উত্তর পাড়ে যাত্রী পারাপারের জন্য ১৯টি ঘাট আছে। ফিরিঙ্গিবাজার ঘাটের দায়িত্ব সড়ক ও জনপথ বিভাগের। এছাড়া নদীর এ পাড়ে ১৮টি ঘাটের রক্ষণাবেক্ষণ করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। দক্ষিণ পাড়ে ঘাট রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পটিয়া পৌরসভার।
জানা যায়, ১৯৯৮ সালে আটটি ঘাটের যাত্রী ছাউনি ও লোহার সেতু নির্মাণ করে সিটি করপোরেশন। তবে যথাযথ সংস্কারের অভাবে এসব ঘাট জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।
১৪ নম্বর ঘাট হয়ে প্রতিদিন শহরে যাতায়াত করেন আনোয়ারা, বাঁশখালী, চন্দনাইশসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, দেশের অন্যতম সার কারখানা কাফকো, সিইউএফএল এবং কেইপিজেডে চাকরীরত শত শত শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন এই জেটি ঘাট দিয়ে।
যাত্রীদের অভিযোগ, ইঞ্জিনচালিত নৌকাগুলো ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে। ঘাট পারাপারে নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া, দেয়া হয় না লাইফ জ্যাকেট। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। তারপরও যানজট এড়াতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হচ্ছেন মানুষ।
জানা যায়, ১৯৯৬ সালে কর্ণফুলীর ১৪ নম্বর ঘাট প্রথম ইজারা দেওয়া হয়। ঘাটের ইজারাদার কর্তৃপক্ষ বলছেন, নতুন জেটি নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এরপর যাচ্ছে দুই যুগ, এখনও রয়ে গেছে পুরনো চিত্র, শুরুই হয়নি জেটি নির্মাণকাজ।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৯
এসি/টিসি