শুক্রবার (১৯ জুলাই) কামাল উদ্দিনকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর থানার কাউখালী স্টেডিয়ামপাড়া এলাকা থেকে চোরাই টাকাসহ কামাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অর্নব বড়ুয়ার নেতৃত্বে একটি টিম।
গ্রেফতার সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. কামাল উদ্দিন (৪০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানার সিঙ্গারবিল এলাকার মো. আলী আহমদের ছেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জহির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকা থেকে চুরি হওয়া টাকাসহ সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. কামাল উদ্দিনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর থানার কাউখালী স্টেডিয়ামপাড়া এলাকা গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই অর্নব বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, ২০ জুন মিজানুর রহমান সিএনজি অটোরিকশা কেনার জন্য ৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন সিএনজি অটোরিকশা চালক কামাল উদ্দিনকে। কিন্তু কামাল উদ্দিন সেই টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। চুরি করে সেই টাকাসহ পরিবার নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর এলাকায় ভাড়া বাসায় উঠেন কামাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, চুরি করা টাকা দিয়ে স্ত্রীর জন্য স্বর্ণ কেনেন কামাল উদ্দিন। সেই টাকা দিয়ে ছেলের জন্য মোটরসাইকেল কিনতে গিয়েছিলেন। পরে আমাদের হাতে ধরা পড়ে।
এসআই অর্নব বড়ুয়া জানান, কামাল উদ্দিন এক সময় ডাকাতি করতেন বলে তার এলাকার লোকজন জানিয়েছে। বিভিন্ন মামলার আসামি হয়ে পরে এলাকা ছাড়েন। চট্টগ্রাম শহরে এসে সিএনজি অটোরিকশা চালক হিসেবে কাজ করেন। এক বছর মিজানুর রহমানের মালিকানাধীন সিএনজি অটোরিকশা চালিয়েছেন। পুরোনো সিএনজি অটোরিকশা বিক্রি করে নতুন আরেকটি কেনার সময় মিজানুর রহমানের টাকা নিয়ে পালিয়ে যান কামাল উদ্দিন।
কামাল উদ্দিনের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কী না বা তিনি কোনো সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য কী না তা খতিয়ে দেখতে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানান এসআই অর্নব বড়ুয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
এসকে/টিসি