ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইস্ট ডেল্টায় যৌন হয়রানি রোধে কর্মশালা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
ইস্ট ডেল্টায় যৌন হয়রানি রোধে কর্মশালা ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে কর্মশালা।

চট্টগ্রাম: বর্তমান সময়ে নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এ ধরণের হয়রানি রোধে ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে (ইডিইউ) কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ‘যৌন হয়রানি সচেতনতা ও প্রতিরোধ প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক দুই সেশনে বিভক্ত এ কর্মশালা পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওম্যান অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অমিয় সৃজন সাম্য।  

যৌন হয়রানি অভিযোগ কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অনন্যা নন্দীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ কর্মশালার প্রথম সেশনে ইডিইউর শিক্ষার্থী এবং দ্বিতীয় সেশনে ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও কর্মকর্তারা অংশ নেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, মানবিক গুণাবলী, যা আমাদের জীবনযাপনের মূল বুনিয়াদ, তা হারিয়ে যাচ্ছে বলেই যৌন হয়রানির মতো বিষয়গুলো দিন দিন বাড়ছে। বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে এ হয়রানির মাত্রা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, যা সামগ্রিকভাবে প্রভাব ফেলছে আমাদের সামাজিক আচরণে।

এর ফলে আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক অভ্যাসগুলোতে নেতিবাচক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে।

‘এটি কমাতে প্রয়োজন মূল্যবোধ ও নৈতিকতার শিক্ষা দেয়া। অপরকে সম্মান করতে শেখানো প্রয়োজন। এ প্রবণতা রোধের লক্ষ্যে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির পলিসি নির্ধারণে আমরা শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সুকুমার বৃত্তিগুলোকে জাগিয়ে তোলার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকেই এ বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করেছি। ’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান বলেন, যৌন হয়রানি রোধে বাংলাদেশের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে পলিসি নির্ধারণে বিশদভাবে কাজ করা হয়নি। এক্ষেত্রে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি ব্যতিক্রম। ইতোমধ্যে এ বিষয়টির সকল দিক বিবেচনায় রেখে পলিসি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষে শিক্ষার্থীদের সচেতন করে তুলতে আধুনিক ও যুগোপযোগী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

যৌন হয়রানির বিভিন্ন ধরণ তুলে ধরার মাধ্যমে কর্মশালায় অমিয় সৃজন বলেন, হয়রানি যৌন সন্ত্রাসের একটি ধরণ। যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কথা ও অপ্রীতিকর স্পর্শের মাধ্যমেই সচরাচর হয়রানি করা হয়। কিন্তু সচেতনতা ও প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে অজ্ঞতায়, এ হয়রানির শিকার অনেকেই এখনো সোচ্চার হয়ে উঠতে পারছে না।

তিনি আরো বলেন, যৌন হয়রানির শিকার ব্যক্তিরা মানসিক ট্রমায় আক্রান্ত হয় এবং অনেক সময় এতে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বাধাগ্রস্ত হয়ে থাকে। তাই এ ধরণের হয়রানি শুধুমাত্র মানবাধিকারের লঙ্ঘনই নয়, একইসঙ্গে শাস্তিযোগ্য অপরাধও। তাই কর্মক্ষেত্র বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে এ ধরণের হয়রানির ঘটনায় যথাযথ তদন্তপূর্বক শাস্তি নিশ্চিত করা আবশ্যক।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাপরিচালক সৈয়দ শফিকউদ্দীন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সামস উদ-দোহা, রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মুহাম্মদ রকিবুল কবির প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।