বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) চট্টগ্রাম ত্যাগের আগে বানৌজা ঈসাখানের অধিনায়ক কমডোর এম নিজামুল হক লেবাননগামী নৌসদস্যদের বিদায় জানান। এ সময় নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও লেবাননগামী নৌসদস্যদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নৌসদস্যরা লেবাননে মোতায়েন করা নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘বিজয়’ এ যোগ দেবেন। এর আগে গত ৪ জুলাই ৩০ জন নৌ সদস্যের আরেকটি দল লেবাননে গমন করে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জামান বাংলানিউজকে জানান, নৌবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে জাতিসংঘের প্লেনটি সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে উড্ডয়ন করে।
বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিচ্ছে।
ভূ-মধ্যসাগরে মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে বর্তমানে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘বিজয়’ ইউনিফিলে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত রয়েছে। জাহাজটি লেবাননের ভূখণ্ডে অবৈধ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি লেবানিজ জলসীমায় উক্ত জাহাজ মেরিটাইম ইন্টারডিকশন অপারেশন, সন্দেহজনক জাহাজ ও এয়ারক্রাফটের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি, দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজে উদ্ধার তৎপরতা এবং লেবানিজ নৌসদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ৯ বছর ধরে অত্যন্ত আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে বিশ্ব শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এ অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
এআর/টিসি