বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) নগরের ওয়াসা মোড়ে মোটরযান আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক। এ সময় ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালানোর দায়ে রেজাউল হক রুবেলকে জরিমানা করা হয়।
বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরের ওয়াসা মোড়ে মোটরযান আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। সাড়ে ১১টার দিকে এক যুবক হেলমেট ছাড়া মোটর সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে থামানো হয়।
তিনি বলেন, এ সময় ওই যুবককে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির কাগজপত্র দেখানোর অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তিনি গাড়ির কোনো কাগজপত্র না দেখিয়ে নিজেকে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি পরিচয় দেন। পরে গাড়ির কাগজপত্র দেখাতে না পারায় রেজাউল হক রুবেল নামের ওই যুবককে জরিমানা করা হয়।
জানতে চাইলে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, মোটরসাইকেলে আমি ছিলাম না। ইমন নামে আমাদের জুনিয়র এক কর্মী ছিলেন। মোটর সাইকেল আটকালে ইমন আমার নাম বলেন।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক বাংলানিউজকে জানান, আমরা যে রেজাউল হক রুবেলকে জরিমানা করেছি তিনিই সদ্য চবি ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়া রেজাউল হক রুবেল। ওয়াসা মোড়ের ওই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ এবং জরিমানার কাগজে তার ছবি ও সই রয়েছে।
দুই চালককে জেল
ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর দায়ে দুই চালককে কারাদণ্ড দিয়ে জেলে পাঠিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) নগরের ওয়াসা মোড়ে মোটরযান আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক।
এ সময় ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় বাসচালক মো. সুমন (২৪) কে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা এবং ট্রাকচালক মো. রুবেল (২৬ ) কে ২১ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত বাসচালক মো. সুমনের বাড়ি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার চর আমানউল্যা গ্রামে। তার পিতার নাম মো. কামাল এবং চালিত বাসের নম্বর চট্টমেট্রো জ ১১-১৬২২। অন্যদিকে ট্রাকচালক মো. রুবেলের বাড়ি চট্টগ্রাম নগরের বন্দর থানার চৌচালা এলাকায়। তার পিতার নাম মো. আব্দুস সবুর এবং চালিত ট্রাকের নম্বর চট্টমেট্রো ট ১১-৮২৫১।
তারা উভয়ই দীর্ঘদিন ধরে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাস ও ট্রাকের মতো বড় পরিবহনে চালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন বলে জানিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দুই চালককে কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বাস ও ট্রাক মালিককে ডেকে আমরা সতর্ক করেছি। ভবিষ্যতে ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন চালকের হাতে গাড়ি না দেয়ার জন্য তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পরিচালিত অভিযানে মোট ৮টি পরিবহনকে ১৮ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানার পাশাপাশি ১টি গাড়ির কাগজপত্র জব্দ করা হয় বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
এমআর/টিসি