ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফ্লাইওভারের নিচে জায়গা ভাড়ার সিদ্ধান্ত বাতিল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
ফ্লাইওভারের নিচে জায়গা ভাড়ার সিদ্ধান্ত বাতিল ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: পার্কিংয়ের জন্য হোটেল দি পেনিনসুলাকে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নিচে জায়গা ভাড়া দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সিডিএ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংস্থাটির ৪৩৬ তম বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের সভাপতিত্বে সভায় বোর্ড সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সংস্থাটির ৪৩৫ তম বোর্ড সভায় ফ্লাইওভারের নিচে পেনিনসুলাকে  জায়গা ভাড়া দেয়া সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। সেসময় চেয়ারম্যান ছিলেন আবদুচ ছালাম।

যাওয়ার আগে তড়িঘড়ি করে বিশেষ বোর্ড সভা ডেকে পেনিনসুলাকে জায়গা বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তাবটি অনুমোদন দেন তিনি।

পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে অন্যান্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্টরা আপত্তি জানায়।

এরপর নতুন চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম বোর্ড সভায় জায়গা ভাড়া দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।

সিডিএ সূত্র জানায়, নগরের ব্যস্ততম এলাকা জিইসিতে ফ্লাইওভারটির ২৮ থেকে ২৫ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গা হোটেল দি পেনিনসুলাকে বরাদ্দ দেওয়ার কথা ছিল।

এর আগে ফ্লাইওভারের নিচে দোকান নির্মাণ করতে গেলে সিডিএ বাধার মুখে পড়ে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, পুলিশসহ সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর বিরোধিতায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সিডিএ। এ ছাড়া হাইকোর্ট দোকান নির্মাণ বন্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিডিএর বোর্ড সদস্য হাসান মুরাদ বিপ্লব বাংলানিউজকে বলেন, ফ্লাইওভারটি মূলত যানজট নিরসনের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে এর সুফল নগরবাসী ভোগ করছেন। মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট, জিইসি, ওয়াসা, লালখানবাজারের যানজট অনেকটা কমে গেছে।

তিনি বলেন, ‘যে জায়গাটি পার্কিংয়ের জন্য পেনিনসুলাকে বরাদ্দ দেওয়ার চেষ্টা চলছে, সেখানে ইতোমধ্যে অনেকে গাড়ী রাখছেন। তবে সেটি অনানুষ্ঠানিক। আনুষ্ঠানিকভাবে ভাড়া দেওয়া হলে সেখানে যানজট সৃষ্টি হবে। এজন্য গত বোর্ড সভায় নেয়া সিদ্ধান্তটি বাতিল করা হয়েছে।

আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার প্রকল্প ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন দেয়। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত। ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৫৪ ফুট প্রস্থের ফ্লাইওভারটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৬৯৬ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
এসইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।