ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৫ প্রার্থী নিয়ে দুশ্চিন্তায় আ.লীগ, স্বস্তিতে বিএনপি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
৫ প্রার্থী নিয়ে দুশ্চিন্তায় আ.লীগ, স্বস্তিতে বিএনপি প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে। আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন ৫ জন কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ভরাডুবি হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। আর একক প্রার্থী থাকায় বিএনপি তুলনামূলক স্বস্তিতে।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, উপ-নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- মো. মাসুদ করিম টিটু (রেডিও), একেএম আরিফুল ইসলাম ডিউক (মিষ্টি কুমড়া), মোহাম্মদ শহিদুল আলম (ঘুড়ি), মো. শফি (লাটিম), শাহেদুল ইসলাম (টিফিন ক্যারিয়ার) ও শেখ নায়েম উদ্দীন (ঠেলাগাড়ি) প্রতীক পেয়েছেন।

এর মধ্যে একেএম আরিফুল ইসলাম ডিউক (মিষ্টি কুমড়া) প্রয়াত কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা একেএম জাফরুল ইসলামের ছেলে। ইতোমধ্যে বিএনপি তাকে সমর্থন দিয়েছে।

অন্য ৫ প্রার্থীর মধ্যে মোহাম্মদ শহিদুল আলম (ঘুড়ি) নগর আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক ও ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। এ ছাড়া মো. মাসুদ করিম টিটু (রেডিও) ও মো. শফি (লাটিম) ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য। শাহেদুল ইসলাম (টিফিন ক্যারিয়ার) নগর যুবলীগের সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও শেখ নায়েম উদ্দীন (ঠেলাগাড়ি) যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

এর মধ্যে মোহাম্মদ শহিদুল আলম (ঘুড়ি) শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও মো. মাসুদ করিম টিটু সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

দলের সাধারণ সমর্থকেরা জানান, আওয়ামী লীগ থেকে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ায় নির্বাচনে দল পরাজিত হতে পারে।

এদিকে বিএনপি থেকে প্রার্থী সমর্থন দেওয়া হলেও এখনো আওয়ামী লীগ থেকে এখনো কাউকে সমর্থন দেওয়া হয়নি।

নগর আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল এক নেতা বাংলানিউজকে জানান, পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে উপ–নির্বাচনে এখনো কাউকে সমর্থন দেয়া হয়নি।

তিনি আরও জানান, যেহেতু সেখানে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী রয়েছেন, সেজন্য একক প্রার্থী দেয়ার চেষ্টা চলছে। আলাপ–আলোচনা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত একক প্রার্থী দেয়া না গেলে নির্বাচন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। কাউকে সমর্থন দেওয়া হবে না। জনগণের ভোটে যিনি নির্বাচিত হবেন, তাকেই স্বাগত জানানো হবে।

অন্যদিকে বিএনপির সমর্থকেরা মনে করছেন, জনপ্রিয়তার কারণে প্রয়াত একেএম জাফরুল ইসলাম বার বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটবে না।

নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বাংলানিউজকে বলেন, পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে উপ–নির্বাচনে প্রয়াত কাউন্সিলর ও জনপ্রিয় বিএনপি নেতা একেএম জাফরুল ইসলামের ছেলে একেএম আরিফুল ইসলাম ডিউককে দলের পক্ষ থেকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, তিনিও তার বাবার মতো জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন।

এর আগে ২৫ জুলাই ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা করে পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।

জেলা নির্বাচন অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ওয়ার্ডে ভোটার রয়েছেন ৪৯ হাজার ৭৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৭৩৩ জন ও নারী ভোটার ২৬ হাজার ৪৯ জন।

১৭টি ভোটকেন্দ্রের ১২৪টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ১৭ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ১২৪ জন সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ২৪৮ জন পোলিং কর্মকর্তা ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন।

এর আগে ১৭ এপ্রিল নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একেএম জাফরুল ইসলাম মারা যান। ১২ জুন পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।

সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯-এর ১৬ ধারা অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিন পূর্বে মেয়র বা কাউন্সিলর পদ শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে পূরণ করতে হবে। উপ-নির্বাচনে যিনি নির্বাচিত হবেন, তিনি অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য ওই পদে বহাল থাকবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৯
এসইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।