বুধবার (১৭ জুলাই) চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সিইউজে নেতারা তথ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপিও দেন।
সিইউজে সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামলের নেতৃত্বে সৌজন্য সাক্ষাতকালে উপস্থিত ছিলেন সিইউজের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আহমেদ কুতুব, আজাদী ইউনিট প্রধান খোরশেদ আলম, টিভি ইউনিট প্রধান অনিন্দ্য টিটো, পূর্বদেশ ইউনিট প্রধান রতন কান্তি দেবাশীষ, সুপ্রভাত বাংলাদেশ ইউনিট প্রধান স ম ইব্রাহিম, সিনিয়র সাংবাদিক আজাদ তালুকদার, প্রিয় চট্টগ্রাম ইউনিট প্রধান বিশু রায় চৌধুরী প্রমুখ।
সিইউজের দাবির প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে যেসব পত্রিকার সরকারি নিবন্ধন আছে কিন্তু বাজারে দেখা যায় না, নিয়মিত প্রকাশিত হয় না; অথচ সরকারি হাজার হাজার টাকার বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে মূলধারার গণমাধ্যমের অর্থ তছরুপ করছে- তা খতিয়ে দেখা হবে।
সর্বস্তরের সাংবাদিকদের পেনশন সম্পর্কে সিইউজের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হলে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গণমাধ্যম মালিকদের সরকার থেকে চিঠি দিয়ে পেনশন চালু করতে বলা হবে। এ ক্ষেত্রে মালিকপক্ষ সাংবাদিকদের বেতন থেকে একটি অংশ কেটে রেখে এবং মালিকপক্ষ একটি অংশ দিয়ে পেনশন চালুর বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।
নবম ওয়েজবোর্ডে টেলিভিশন সাংবাদিকদের অন্তর্ভুক্ত করার কোন আইনি সুযোগ নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, টেলিভিশন সাংবাদিকদের জন্য পৃথক একটি বেতন কাঠামো গঠন করার বিষয়ে নবম ওয়েজবোর্ড কমিটি পৃথক সুপারিশ করেছেন। সেই সুপারিশের আলোকে আলাদা বেতন কাঠামো তৈরির বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের বিকাশের ক্ষেত্রে বহু গঠনমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকবান্ধব। তিনি সবসময় সাংবাদিকদের কল্যাণের কথা চিন্তা করেন।
ড. হাছান মাহমুদ রূপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
এসি/টিসি