মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ) ক্যাম্পাস পরিদর্শনে এসে এ মন্তব্য করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের প্রাক্তন ডিন ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান।
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও শিক্ষার পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা দিতে নিয়ে যান ক্যাম্পাস-ক্লাসরুম-লাইব্রেরি পরিদর্শনে।
ড. মনিরুজ্জামান নজরুল ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক এবং লিঙ্গুইস্টিক সোসাইটি অব ইন্ডিয়া, দ্রাবিড়িয়ান লিঙ্গুইস্টিক অ্যাসোসিয়েশন, ফিলোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রেট ব্রিটেনসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা সংস্থা ও সংঘের জীবন সদস্য। ভাষা, সাহিত্য ও ফোকলোর বিষয়ে এ যাবৎ তার ২৭টি বই এবং শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৬২ সালে প্রথম ড. মনিরুজ্জামানের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। কলেজ জীবনে তিনি আমার প্রথম শিক্ষক। তিনি ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত যেসকল কর্মকাণ্ড হতো, তাতে তিনি নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন। সাহিত্যের প্রতি ঝোঁক এবং প্রগতিশীলতার চর্চার কারণে তার সঙ্গে আমার হৃদ্যতা গড়ে ওঠে। চট্টগ্রাম কলেজে সাহিত্য ম্যাগাজিন প্রকাশকালে সম্পাদক হিসেবে আমি তার কাছে যে সহযোগিতা পেয়েছিলাম, তা এখনো মনে পড়ে। দীর্ঘদিন দেখা না হলেও, প্রায়ই অনুভব করি তাকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, বাংলাদেশে সাহিত্য ও জ্ঞানচর্চার অঙ্গনে ড. মনিরুজ্জামান একটি উজ্জ্বল নাম। তার মতো একজন গুণী ব্যক্তিত্ব এ জাতির জন্য সম্পদ। তার আগমন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিকে গৌরবান্বিত করেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইডিইউর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সামস উদ-দোহা ও রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, ১৮ জুলাই ২০১৯
এসি/টিসি