তিনি বলেন, ৭-৮ দিন বৃষ্টির কারণে তীব্র যানজটে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্যভর্তি কনটেইনার ডেলিভারি এক তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। সিসিটি, এনসিটিতে আড়াই-তিন হাজার কনটেইনার ডেলিভারির অ্যাসাইনমেন্ট থাকলেও ৮০০-৯০০ বক্সে নেমে এসেছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।
যানজটের কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা, বন্যা, অতিবৃষ্টির কারণে বন্দরমুখী ট্রাক, কাভার্ডভ্যানের চাপ বেড়েছে।
নগরের প্রধান সড়কে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা দরকার হলেও বন্দর ও বিমানবন্দরের কারণে এক্ষেত্রে বাইপাস সড়ক না করে সম্ভব নয়। একটি সেতু যখন ভেঙে পুনর্নির্মাণ করা হয় তখন পাশে বিকল্প সেতু ও সড়ক তৈরি করা হয়। যাতে যান চলাচলে ব্যাঘাত না ঘটে। বন্দর ও বিমানবন্দর রুটের স্বাভাবিক যানচলাচল বহাল রেখে ফ্লাইওভার নির্মাণ করতে হবে। লাইফলাইন ব্লক করা যাবে না।
বন্দরের শীর্ষস্থানীয় টার্মিনাল অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেন, স্বাভাবিক সময়ে যদি ৪ হাজার টিইইউ’স কনটেইনার থেকে পণ্য ডেলিভারি নিতে ৮ হাজার ট্রাক ঢোকে তবে ১ জন চালক ও ১ জন সহকারী মিলে ১৬ হাজার মানুষ বন্দরে ঢোকে। এক্ষেত্রে আইএসপিএস কমপ্লায়েন্স পোর্ট করতে হলে আমাদের শৃঙ্খলায় আসতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিয়েছে। সহযোগিতা করতে হবে। আইএসপিএস কমপ্লায়েন্সে ব্যর্থ হলে চট্টগ্রাম বন্দর যেমন মেরিটাইম ওয়ার্ল্ডে পিছিয়ে পড়তে তেমনি আমাদের তৈরি পোশাক খাতসহ সব রফতানিও তলানিতে ঠেকবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বর্তমানে বন্দরে কাস্টম হাউসের যে স্ক্যানার মেশিনগুলো আছে সেগুলোর বদলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অত্যাধুনিক অটো স্ক্যানার মেশিন স্থাপন করলে হ্যান্ডলিং ও ডেলিভারি কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। প্রতি গেটে স্ক্যানার থাকবে। কনটেইনারে বেআইনি, নিষিদ্ধ পণ্য থাকলে গেট খুলবে না। যারা স্ক্যানার সরবরাহ করবে তাদের প্রশিক্ষিত জনবল থাকবে। তারা বন্দরের লোকজনকে প্রশিক্ষিত করবে।
যত দ্রুত সম্ভব চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনাল এলাকায় ট্রাক টার্মিনাল ও ডেলিভারি ইয়ার্ড স্থানান্তর জরুরি বলে মনে করেন তরফদার মো. রুহুল আমিন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
এআর/টিসি