আমিনুল হকের বাড়ি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার বহদ্দারকাটা এলাকায়। বাবা মোকতার আহমেদ কৃষক।
পরিবারের আর্থিক অনটনের কারণে তাকে চকরিয়ায় কোনো একটি কলেজে এইচএসসি পড়তে বলেছিলেন বাবা। পরে বাবাকে তার আর্থিক খরচ নিয়ে ভাবতে হবে না বুঝানোর পর, নিজের আত্মবিশ্বাস ও বড় কিছু হওয়ার আশা নিয়ে আমিনুল হক ভর্তি হন চট্টগ্রাম কলেজে মানবিক বিভাগে। চট্টগ্রাম শহরে কিছু পরিচিত বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় দুটি টিউশনি করায় আমিনুল। দুই বছর টিউশনি টাকায় নিজের খরচ ও পড়ালেখার খরচ যুগিয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষকদের সহযোগিতায় নিজে ভালো করে পড়ে আমিনুল হক পায় জিপিএ-৫।
আমিনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, সকালে টিউশনি করার পর কলেজে চলে যেতাম। কলেজ থেকে ফিরে বিকেলে আবারও টিউশনি করতাম। এভাবে চলেছে গত দুই বছর। টিউশনি টাকায় নিজের খরচ ও পড়ালেখার খরচ যুগিয়েছি।
আমিনুল বলেন, সকাল ৫টায় ঘুম থেকে উঠে যেতাম। টিউশনিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত দুই ঘণ্টা পড়তাম। তারপর সন্ধ্যায় টিউশনি থেকে আসার পর রাত ১টা পর্যন্ত পড়ালেখা করেছি। পাশাপাশি শিক্ষকদের সহযোগিতার কারণে আমার এই ভালো ফলাফল।
এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অনুষদে ভর্তি হয়ে বিচারক হওয়ার আশা জানিয়ে তিনি বলেন, টিউশনি করে এইচএসসি পাস করেছি। কিন্তু এবার পরবর্তী শিক্ষা জীবন কিভাবে পার করব? সেই প্রশ্ন জাগছে মনে।
আমিনুল হকের সহপাঠী তাছমিনা সুলতানাও মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাছমিনা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ক্লাসের ফাঁকে মাঝে-মধ্যে আড্ডা দিলেও আমিনুল হককে দেখতাম বই নিয়ে সারাক্ষণ পড়তে। সে ক্লাসে সবার চেয়ে ভালো পারত। ক্লাস পরীক্ষায়ও ভালো ফলাফল করতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
জেইউ/টিসি