শুধু জাহিদ নয়, মানবিক বিভাগের নিজাম উদ্দিন, বিজ্ঞান বিভাগের হোসাইন মো. ফয়সালকেও দেখা গেল তাদের প্রিয় শিক্ষককে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে। যে শিক্ষক দুই বছর তাদের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, যত্ন নিয়ে পড়িয়েছেন, তাদের পেছনে সময় দিয়েছেন, সেই শিক্ষককে কাছে পেয়ে তাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ না থাকাটাই স্বাভাবিক।
জাহিদ উল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বাবা-মায়ের পাশাপাশি কলেজের শিক্ষকরা আমাদের খুব বেশি যত্ন নিয়েছেন। তাদের দিক নির্দেশনা, সারাক্ষণ আমাদের পেছনে সময় দেওয়ার কারণে মূলত ভালো রেজাল্ট করা।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছেন নাফিসা নওরোজ। মুঠোফোনে রসায়নের এক শিক্ষককে ফোন করে বলছিলেন, ‘স্যার আপনি যেটি আশা করেছেন সেটিই হয়েছে। আমি জিপিএ-৫ পেয়েছি। ’
নাফিসা নওরোজ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের পরিশ্রমের চেয়ে শিক্ষকরা বেশি পরিশ্রম করেছেন। এ জন্য ভালো ফলাফল করা। এখন ভালো একটি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে ডাক্তার হতে পারলেই জীবন স্বার্থক।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া হোসাইন লুবাবাও আশা করছেন ডাক্তার হওয়ার।
চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও চট্টগ্রামে ১ম স্থান অধিকার করেছে চট্টগ্রাম কলেজ। প্রথম হওয়ার পেছনে শিক্ষার্থী, তাদের বাবা-মা ও শিক্ষকরা দায়িত্ব নিয়ে পড়ানোর কারণে এ কলেজ ভালো করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
জেইউ/এসি/টিসি