সিডিএ সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল) মাহমুদ হোসাইন খানকে প্রধান করে কমিটিতে সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাবিবকে সদস্য সচিব, নির্বাহী প্রকৌশলী ও অথরাইজড কর্মকর্তা মনজুর হাসানকে সদস্য করা হয়েছে। কমিটিকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিডিএ চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ বাংলানিউজকে বলেন, ৩ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে শনিবার (১৩ জুলাই) চট্টগ্রাম শহর রক্ষায় নির্মিতব্য উপকূলীয় বাঁধ কাম পতেঙ্গায় আউটার রিং রোডের ওয়াকওয়ের কয়েকটি অংশ ধসে পড়ে।
উল্লেখ্য, জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)২০০৫ সাল থেকে পতেঙ্গা হতে ফৌজদারহাট পর্যন্ত বেড়িবাঁধ কাম আউটার রিং রোড নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়। যাচাই শেষে ২০০৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে জাইকা।
২০১৬ সালের জুলাইয়ে চার লেনের এ সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আড়াই হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
উপকূলীয় বাঁধ কাম আউটার রিং রোড নির্মাণ নামে এ প্রকল্পের আওতায় ১৭ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ হবে। এর মধ্যে ১৫ দশমিক ২০ কিলোমিটার মূল ও ২ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক। এ ছাড়া প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে তৈরি করা হবে।
শুরুতে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৮৬৫ কোটি ২৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দুই বার সংশোধনের পর বর্তমানে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪২৬ কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ১ হাজার ৭২০ কোটি ১১ লাখ ৮০ হাজার ও জাইকার সহায়তা ৭০৬ কোটি টাকা।
ইতোমধ্যে প্রকল্পের বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ২০১৯ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
এসইউ/টিসি