তিনি বলেন, চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিসহ আমি নিজে মনিটরিং করবো। স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবো।
ইতোমধ্যে ২ কোটি টাকার মশা ও লার্ভা ধ্বংসকারী ওষুধ কেনা হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, প্রয়োজনে আরও ওষুধ কিনবো। সচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন ও লিফলেট বিতরণ করবো।
ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করে মেয়র বলেন, পরিষ্কার ও বদ্ধ পানি এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র। তাই বাসাবাড়ির আশপাশে ডাবের খোসায়, ফুলের টবে, ছাদে, ফ্রিজের নিচের ট্রেতে যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারও জ্বর বা ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে চসিক জেনারেল হাসপাতাল বা যেকোনো সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
সোমবার (১৫ জুলাই) নগরের মোমিন রোডের ঝাউতলা সেবক কলোনি এলাকায় বিশেষ মশক নিধন অভিযান উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।
১৫টি ফগার মেশিন ও ১৫টি হ্যান্ড স্প্রে মেশিন ব্যবহার করে ক্রাশ প্রোগ্রাম উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, মনোয়ারা বেগম মনি, উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।
চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী যিশু বাংলানিউজকে জানান, প্রাপ্তবয়স্ক মশা নিধনের জন্য এডাল্টিসাইড এবং মশার লার্ভা (ডিম) ধ্বংসের জন্য লার্ভিসাইড ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। ফগার মেশিনের সাহায্যে এডাল্টিসাইড ওষুধ ধোঁয়া আকারে ছিটানো হবে। হ্যান্ড স্প্রে মেশিনের সাহায্যে ১০ লিটার পানিতে ১০ সিসি লার্ভিসাইড ছিটানো হবে।
তিনি জানান, বিশেষ মশক নিধন অভিযান উদ্বোধনের পর নগরের ৪১ ওয়ার্ডে ১২০ জন শ্রমিক ওষুধ ছিটানো শুরু করেছে। এবার ২ কোটি টাকার ২৫ হাজার লিটার এডাল্টিসাইড, ১০ হাজার লিটার লার্ভিসাইড ওষুধ কিনেছে চসিক। চসিকে ১১০টি জার্মানির ফগার মোশিন ও ৩৫০টি হ্যান্ড স্প্রে মেশিন রয়েছে।
তিনি জানান, প্রতিবছর সেপ্টেম্বর থেকে মে পর্যন্ত মশক নিধন কার্যক্রম চললেও এবার চিকনগুনিয়া ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে চসিক।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি