শনিবার (১৩ জুলাই) চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) অনুষ্ঠিত বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. আফছারুল আমীন বলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, গবাদি প্রাণি, মৎস্য উৎপাদনসহ কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের আজ যে অগ্রগতি, তা কেবল গবেষণার মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে।
কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে বাংলাদেশে ভালো ভালো গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম রয়েছে। কিন্তু এসব গবেষণাকর্ম যথাযথভাবে ফোকাস হচ্ছে না। যে কারণে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব র্যাংকিং-এ পিছিয়ে আছি।
তিনি বলেন, মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম পরিচালনায় বিদেশি অর্থায়নের ব্যবস্থা ইতোমধ্যে করা হয়েছে। সরকারের লক্ষ্যমাত্রাসমূহ বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ গবেষণা কার্যক্রমে আরও বেশি মনোনিবেশ করতে পারবেন। আগামীতে উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে গবেষণা অনুদান আরও বৃদ্ধি করা হবে।
পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ।
কর্মশালায় সিভাসু’র গবেষণা কার্যক্রমের উপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. কবিরুল ইসলাম খান। স্বাগত বক্তব্য দেন সিভাসু’র ওয়ান হেল্থ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. শারমীন চৌধুরী।
এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, বিভিন্ন দফতরের পরিচালক, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং এমএস ও পিএইচডি গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর কর্মশালার তিনটি টেকনিক্যাল সেশনে মোট ২০টি গবেষণা প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯
এমআর/টিসি