এর মধ্যে প্রবর্তক মোড়-কাপাসগোলাতে ১টি, জিইসি-দু’নম্বর গেট এলাকায় ১টি এবং মুরাদপুর ও বহদ্দারহাটে ১টি করে টিম কাজ করছে।
বৃষ্টি শুরুর পর থেকে এসব টিম মাঠে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ৪০ জন সদস্য চারটি টিমে ভাগ হয়ে কাজ করছে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী ও মেগাপ্রকল্পের পরিচালক আহমেদ মাঈনুদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, জলাবদ্ধতার মধ্যে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। তারা কারণগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি দ্রুত পানি সরানোর ব্যবস্থা করছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএ’র সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর খালের উভয় পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করে। পাশাপাশি খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমও শুরু হয়।
ডিপিপি অনুযায়ী গৃহীত এ মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালে ৩৬ খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ১০০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ২০২০ সালের মধ্যে নগরে ৩৬টি খাল খনন, খালের পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধক দেয়াল, ৮৫ কিলোমিটার সড়ক, ৪২টি সিল্ট ট্র্যাপ সহ নানান অবকাঠামো নির্মাণ করার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯
এসইউ/এসি/টিসি