ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভারী বর্ষণে ফের ডুবেছে চট্টগ্রাম, বাড়ছে দুশ্চিন্তা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯
ভারী বর্ষণে ফের ডুবেছে চট্টগ্রাম, বাড়ছে দুশ্চিন্তা নগরে ডুবে গেছে সড়ক। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: টানা কয়েক ঘণ্টার ভারী বর্ষণে ফের ডুবে গেছে চট্টগ্রাম নগরের একাধিক এলাকা। আগ্রাবাদ, হালিশহর, বাকলিয়া, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেটসহ নগরের নিম্নাঞ্চলে জমেছে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি।

বাসা-বাড়ি কিংবা দোকান-পাটে পানি ঢোকা নিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ আর দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বাসিন্দারা। কয়েকটি সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় সেখানে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন চলাচল।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৫১ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

প্রবর্তক মোড়ে ডুবে গেছে সড়ক।                                             <div class=

ছবি: উজ্জ্বল ধর" src="https://www.banglanews24.com/media/imgAll/2019May/bg/Ctg-bg920190713113347.jpg" style="margin:1px; width:100%" />পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. আব্দুল হান্নান বাংলানিউজকে জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের আকাশ মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্র এবং ভারী ও অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ দক্ষিণ, দক্ষিণ পশ্চিম দিক থেকে ১২-১৮ কিলোমিটার থাকবে। যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া আকারে ৪০-৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।

এদিকে চট্টগ্রামে শনিবার ভাটা শুরু হয়েছে সকাল ১০ টা ২৩ মিনিটে। জোয়ার শুরু হবে বিকেল ৪টা ৫৪ মিনিটে।

রাউজানে বন্যায় প্লাবিত গ্রাম।  অপরদিকে টানা বর্ষণে পানিতে তলিয়ে গেছে সাতকানিয়ার বাজালিয়া, বড় দুয়ারা, ঘিলাতলী, মাহালিয়া এলাকা, লোহাগাড়ার বড়হাতিয়া, আমিরাবাদ ও লোহাগাড়া, পটিয়ার জুলধা, ডাঙ্গারচর, বড় উঠান, দৌলতপুর, শাহমীরপুর, বাঁশখালীর শেখেরখীল, বাহারছড়া, চাম্বল, গন্ডামারা ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম। আনোয়ারার হাইলধর, জুইদন্ডী, বরুমচড়া, চন্দনাইশের দোহাজারী ইউনিয়নের চাগাচর দিয়াকুল, নয়াপাড়া, রায়জোয়ারা, খিল্লাপাড়া, বৈলতলী, ইউনিয়ন এবং হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ, ধলই, নাঙ্গলমোড়া, গুমানমর্দন, ফতেপুর, মেখল, শিকারপুর ও আলমপুর এলাকা বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ফটিকছড়ির নারায়ণহাট, হারুয়ালছড়ি, ভুজপুর, লেলাং, ধুরুং, গজারিয়া ও বারোমাসিয়া, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালির নিম্নাঞ্চল ও সন্দ্বীপ উপজেলায় ডুবে গেছে কয়েকটি গ্রাম। ভেসে গেছে একাধিক মাছের ঘের। উপকূলবর্তী এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ঢুকছে বন্যার পানি।

রাউজান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোরশেদ জানান, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সর্তা খাল ও ডাবুয়া খালের কয়েকটি স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে।

সাতকানিয়ায় প্লাবিত নিম্নাঞ্চল। ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সায়েদুল আরেফিন বলেন, বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে হালদার বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে অর্ধশত গ্রাম এখন পানির নিচে। বন্যাকবলিতদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

সাতকানিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, বন্যায় পানিবন্দি রয়েছে ৫০ হাজার পরিবার। বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন সরেজমিন পরিদর্শন করেছি এবং ত্রাণ তৎপরতা চালিয়েছি। এখানে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯.
এমআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।