সিএমপির তদন্ত কমিটিতে প্রধান করা হয়েছে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. মিজানুর রহমানকে। এ কমিটিতে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সিটি এসবি) মোহাম্মদ মনজুর মোরশেদকে সদস্য সচিব ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ মঈনুল ইসলামকে সদস্য করা হয়েছে।
সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মেট্রো আদালতের হাজতখানায় অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তদন্ত কাজ শুরু করেছে।
বুধবার (১০ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম আদালতের নিচতলায় মেট্রোপলিটন পুলিশের হাজতখানার অপকর্ম নিয়ে বাংলানিউজে ‘চট্টগ্রাম মেট্রো আদালতের হাজতখানায় যা হয়’ শিরোনামে ভিডিওসহ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার পরপরই টনক নড়ে সিএমপির।
সিএমপির প্রসিকিউশন শাখার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও সহকারী কমিশনারকে ‘ম্যানেজ’ করেই হাজতখানায় এসব অপকর্ম চলে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম আদালতের প্রসিকিউশন শাখার হাজতখানায় কর্মরত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান ও কনস্টেবল হান্নানকে ক্লোজড করেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।
এসআই শাহজাহান ২০১৭ সাল থেকে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত হাজতখানার ইনচার্জের দায়িত্বে ছিলেন। এসআই শাহজাহান কনস্টেবল হান্নান, ফিরোজসহ কয়েকজনকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন সিন্ডিকেট। আর এ সিন্ডিকেটের সদস্যরাই ঘুরে-ফিরে থাকেন হাজতখানার দায়িত্বে।
এ ঘটনা তদন্তে বুধবার (১০ জুলাই) বিকেলেই তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) মেট্রো আদালতের হাজতখানায় অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে তিন সদস্যের আরও একটি কমিটি গঠন করেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ওসমান গনি।
তদন্ত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদকে। কমিটিতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানকে সদস্য সচিব ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানকে সদস্য করা হয়েছে। অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্ত করে আগামি সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে আদেশ দেওয়া হয়েছে কমিটিকে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৯
এসকে/টিসি