বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) এ কমিটি গঠন করেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ওসমান গনি।
তদন্ত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদকে।
অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্ত করে আগামি সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, মেট্রো আদালতের হাজতখানায় অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয়। কমিটিকে আগামি সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে আদেশ দিয়েছেন।
বুধবার (১০ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম আদালতের নিচতলায় মেট্রোপলিটন পুলিশের হাজতখানার অপকর্ম নিয়ে বাংলানিউজে ‘চট্টগ্রাম মেট্রো আদালতের হাজতখানায় যা হয়’ শিরোনামে ভিডিওসহ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার পরপরই টনক নড়ে সিএমপির।
সিএমপির প্রসিকিউশন শাখার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও সহকারী কমিশনারকে ‘ম্যানেজ’ করেই হাজতখানায় এসব অপকর্ম চলে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম আদালতের প্রসিকিউশন শাখার হাজতখানায় কর্মরত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান ও কনস্টেবল হান্নানকে ক্লোজড করেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।
এসআই শাহজাহান ২০১৭ সাল থেকে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত হাজতখানার ইনচার্জের দায়িত্বে ছিলেন। এসআই শাহজাহান কনস্টেবল হান্নান, ফিরোজসহ কয়েকজনকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন সিন্ডিকেট। আর এ সিন্ডিকেটের সদস্যরাই ঘুরে-ফিরে থাকেন হাজতখানার দায়িত্বে।
বুধবার প্রতিবেদন প্রকাশের পর হাজতখানায় আসামিদের সঙ্গে দেখা করা বন্ধ করে দিলেও ভেতরে আসামিদের মোবাইল ফোনে কথা বলতে সংযোগিতা করতে দেখা গেছে দায়িত্বে থাকা কনস্টেবলদের।
বাকলিয়া থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি ও বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. সিরাজ উল্লাহকে হাজতখানার বারান্দায় বসিয়ে নেতাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে সহযোগিতা করেন কনস্টেবল নাজমুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
এসকে/টিসি