রেলওয়ে কর্মকর্তাদের দাবি, রেলের জমি যারা দখলে রেখেছে তারা অনেক প্রভাবশালী। মাঝে-মধ্যে জমি উদ্ধারে অভিযান চালালেও কিছুদিন পর আবারও তারা দখলে নিয়ে নেয়।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে সিলেটের জামালপুর, টাঙ্গাইল সেতুর পূর্বপাশ ও চাঁদপুর পর্যন্ত রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অধীন।
এছাড়া চট্টগ্রামের বাইরে ২৬৭ একর জমির মধ্যে প্রায় দেড়শ একর জমি সরকারি ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান, বাকি জমি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দখলে রেখেছে। এসব জমি অবৈধ দখলমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেয়া প্রয়োজন বলে জানান রেলওয়ের কর্মকর্তারা।
৬ মাসে ৬৭টি অভিযান, তবুও থামছে না দখল
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ভূ-সম্পত্তি বিভাগ সূত্রমতে, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত অবৈধ দখলে থাকা রেলওয়ের জমি উদ্ধারে ৬৭টি অভিযান চালানো হয়। ৫ হাজার ৯৭৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযান চালিয়ে প্রায় ৭৫ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়। দখলমুক্ত জমির মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ১০ একর, বাকি ৬৫ একর জমি রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য জায়গায়।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাইয়ের ১ম সপ্তাহ পর্যন্ত চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৩০টি অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে দেড় হাজার স্থাপনা ও ৪ হাজার জনকে উচ্ছেদ করা হয়। দখলমুক্ত করা হয় প্রায় ১০ একর জমি। এছাড়া ঢাকা অঞ্চলেও ৩০ থেকে ৪০টি অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে ৪ হাজার ৪৮০টি স্থাপনা ও ৫ হাজার ৩০২ জনকে উচ্ছেদ করা হয়। দখলমুক্ত করা হয় প্রায় ৬৫ একর জমি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা কিসিঞ্জার চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা প্রতি সপ্তাহে রেলওয়ের জমি উদ্ধারে অভিযান চালাই। জমি উদ্ধার করে রেলওয়ের প্রকৌশল দফতরকে বুঝিয়ে দেই। তারা এর সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। কিন্তু জনবল সংকটে নজরদারির অভাবে এসব জায়গা পুনরায় বেদখলে চলে যায়।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা (উপসচিব) ইশরাত রেজা বাংলানিউজকে বলেন, ‘রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ৪৮২ একর জমি অবৈধভাবে দখল হয়ে আছে। রেলওয়ের জায়গার ওপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। যেমন-পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদি নেই। এসব কিনতে বরাদ্দ প্রয়োজন। বরাদ্দ বাড়লে অবৈধ জমি উদ্ধারের কাজ আরও দ্রুত গতিতে চলতো।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
জেইউ/এসি/টিসি