ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অধ্যক্ষকে কটূক্তি ‘জামায়াতপন্থী’ শিক্ষকের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
অধ্যক্ষকে কটূক্তি  ‘জামায়াতপন্থী’  শিক্ষকের

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফজলুল হককে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জামায়াতপন্থী শিক্ষক অপমান করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে ফাইন্যান্স বিভাগের সভাপতি ড. শামীম উদ্দিন খান এ অপমান করেন বলে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) উপাচার্য বরাবর একটি অভিযোগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন।

ফজলুল হক সুবিচার চেয়ে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পাওয়া অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বরাবর দেওয়া অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন, ৯ জুলাই দুপুর সাড় ১২টায় উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগদান করি।

সভায় ফাইন্যান্স বিভাগের সভাপতি ড. শামীম উদ্দিন খান তার বক্তব্য দেওয়ার সময় আমাকে কেন্দ্র করে আক্রমণাত্মক ও শিষ্টাচার বিবর্জিত বক্তব্য দেন। এই বক্তব্য সভার এজেন্ডা বহির্ভূত।
তিনি আমাকে অপসারণ করতে বলেন……। ’

অভিযোগ পত্রে তিনি আরও বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন জামায়াতপন্থী শিক্ষক আমাকে সভায় অপদস্থ করায় আমি ব্যথিত হয়েছি। আপনার কাছে আমি সুবিচার চাই। ’

চবি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হক বাংলানিউজকে বলেন, তিনি (ফাইন্যান্স বিভাগের সভাপতি ড. শামীম উদ্দিন খান) একজন জামায়াতপন্থী শিক্ষক। তিনি আমার বয়স নিয়ে কথা বলেছেন, অধ্যক্ষের পদটি ছেড়ে দিতে বলেছেন। তিনি আমাকে সবার সামনে অপমাণ করেছেন। আমি উপাচার্যের কাছে এর বিচার চেয়ে অভিযোগপত্র দিয়েছি।

ফাইন্যান্স বিভাগের সভাপতি ড. শামীম উদ্দিন খান বাংলানিউজকে বলেন, আমি বলেছি চবি স্কুল অ্যান্ড কলেজকে আরও গতিশীল হওয়া দরকার। কারণ প্রতিষ্ঠানটি ভালো অবস্থানে নেই। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের বয়স যেহেতু ৭৫ বছর, তাই এ ব্যাপারে উপাচার্যকে মনোযোগ দিতে বলেছি।

তিনি বলেন, উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পাওয়া শিরীণ আখতার বক্তব্যে দিতে বলায়, আমি পরামর্শ দিয়েছি। এখানে-তো অপমাণ করার কিছু নেই। পরে অাজকে কল করে তার কাছ থেকে ক্ষমাও চেয়েছি।

উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পাওয়া অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বাংলানিউজকে বলেন, সভায় যখন অধ্যক্ষকে এমনভাবে বলা হয় তখন আমি সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করেছি। ওই সময়ে ফাইন্যান্স বিভাগের সভাপতি ড. শামীম উদ্দিন খানকে বলেছি, ‘‘তুমি ওইভাবে বলতে পারো না’’। তারপরও চবি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হক একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা বিষয়টি দেখবো।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৯

জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।