বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওজন স্কেল, খাদ্যশস্য আমদানিতে ঢাকা থেকে আইপি ইস্যু এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন সমস্যা নিরসনে গুরুত্ব দিচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, সড়ক ঠিক রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হলে দেশের সব মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার পুরোপুরি চালুকরণ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণের ব্যবস্থা, ব্যবসায়ীদের সমস্যা নির্ধারণে গবেষণা সেল গঠন, ব্যবসা সহজীকরণসহ বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গঠন করা হয়েছে কয়েকটি উপ-কমিটি। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন গতিশীল করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আট লেনে উন্নীত করতে সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে আলাপ-আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারকে পূর্ণাঙ্গ রূপে চালু করতে সহসভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমীনকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন-শাহরিয়ার জাহান, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, সাকিফ আহমেদ সালাম।
তরফদার মো. রুহুল আমীন জানান, আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারকে পূর্ণাঙ্গরূপে চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, সদস্যদের জন্য ক্লাব চালু, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য কীভাবে সহজে ঋণের ব্যবস্থা করা যায় সে বিষয়ে আমাদের পর্যালোচনা চলছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পর্যালোচনা করতে একটি গবেষণা সেল গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা কেবল নির্দিষ্ট একটি শ্রেণির ব্যবসায়ীদের নিয়ে কাজ করবো না। একজন ছোট ব্যবসায়ীকে কীভাবে সহযোগিতা করা যায় সে বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেব।
চট্টগ্রাম চেম্বারের পক্ষ থেকে বে-টার্মিনাল প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন, সঠিক পদ্ধতিতে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে দ্রুত গতির ট্রেন চালু এবং চট্টগ্রাম নগরে মেট্রো রেল চালুর বিষয়ে সরকারের কাছে দাবি জানানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন কমিটিতে অনেক তরুণ নেতৃত্বে এসেছে। সবাই বনেদি ব্যবসায়ী পরিবারের। তাই এখানে ব্যবসার সমস্যাগুলো তারা জানেন। ব্যবসা কীভাবে সহজ করা যায় তা নিয়ে আমরা কাজ করবো।
>> দায়িত্ব নিলেন চট্টগ্রাম চেম্বারের নতুন পরিচালকেরা
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৯
এআর/টিসি