ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কনস্টেবল পদে চট্টগ্রামে মনোনীত ১০৮৬ জন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০১৯
কনস্টেবল পদে চট্টগ্রামে মনোনীত ১০৮৬ জন কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা

চট্টগ্রাম: কনস্টেবল পদে চাকরির জন্য চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ ১ হাজার ৮৬ জনকে মনোনীত করেছে। রোববার (০৭ জুলাই) জেলা পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা এ ফলাফর ঘোষণা করেন।

মনোনীতদের মধ্যে সাধারণ কোটায় পুরুষ ৮২১ জন ও নারী ১৪৯ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুরুষ ৭৯ জন ও নারী ৫ জন, পোষ্য কোটায় পুরুষ ১০ জন ও নারী ২ জন, আনসার কোটায় পুরুষ ১০ জন ও নারী ১ জন, এতিম পুরুষ ৩ জন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পুরুষ ৫ জন ও নারী ১ জনকে প্রাথমিকভাবে মনোনীত করা হয়েছে। অপেক্ষমান রাখা হয়েছে ১০ জনকে।

পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী মহোদয়ের নির্দেশনায় সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার মানদণ্ডে দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। শুধুমাত্র মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই মনোনীত হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা ঘোষণা করেছিলাম, চাকরির জন্য সরকারি ফি’র অতিরিক্ত কোন ব্যয় করতে হবে না। কোন দালাল, প্রতারকের খপ্পরে না পড়তে বা বিশেষ কোন ব্যক্তির প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হয়ে অর্থ লেনদেন না করতে আমরা প্রত্যন্ত এলাকায়ও মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও সচেতনতা সভা করেছি, আপনাদের অনুরোধ করেছি, সতর্ক করেছি এবং বারবার শপথ করিয়েছি। আমরা কথা রেখেছি, চাকরির জন্য কাউকে অর্থ দিতে হয়নি, তাই যারা চাকরি পাচ্ছেন, সততার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রাথমিকভাবে মনোনীতদের অধিকাংশই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছেলে-মেয়েদের চাকরী দিতে পেরে আমি গর্ববোধ করি। ’

গত ০১ জুলাই নগরের হালিশহরে জেলা পুলিশ লাইনে কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য শারীরিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেওয়ার জন্য ৭ হাজার ৫১৪ নারী-পুরুষ হাজির হন। শারীরিক পরীক্ষা শেষে ২ হাজার ৪২২ জনকে লিখিত পরীক্ষার জন্য মনোনীত করা হয়। ০২ জুলাই লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে কনস্টেবল পদে চাকরির জন্য ১ হাজার ৮৬ জনকে মনোনীত করা হয়।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে মনোনীতদের মধ্যে কৃষকের সন্তান আছে ৩০১ জন। গার্মেন্টস কর্মী, নির্মাণ শ্রমিক, কাঠমিস্ত্রি, জেলে, কামার, হকার, নৈশপ্রহরী, কারখানার শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের মানুষের সন্তান আছে ১২২ জন। বাবা নেই বা অসুস্থ এমন পরিবারের সন্তান আছে ১৬৭ জন। প্রবাসী শ্রমিকের সন্তান আছে ১০৩ জন। রিকশা-ভ্যান-সিএনজি অটোরিকশা চালকের সন্তান আছে ৫৬ জন। ১৮৯ জনের বাবা ক্ষুদ্র দোকানি। সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীর সন্তান ১০৭ জন, শিক্ষকের সন্তান ১৯ জন, চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশের সন্তান ৩৩ জন, পল্লী চিকিৎসকের সন্তান ৭ জন ও গ্রাম পুলিশের সন্তান আছে ২ জন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৯
টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।