ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নোয়াখালে উচ্ছেদ অভিযান শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০১৯
নোয়াখালে উচ্ছেদ অভিযান শুরু নোয়াখালে চলছে উচ্ছেদ অভিযান। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: নগরের নোয়াখালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু হয়েছে।

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর ১২টায় এ অভিযান শুরু হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজখালী খালের ২৬টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে ১ কিলোমিটার জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে।

নোয়াখালে চলছে উচ্ছেদ অভিযান।  ছবি: বাংলানিউজজলাবদ্ধতা নিরসনে ‘মেগা প্রকল্প’ বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুল আলম চৌধুরী এ অভিযান পরিচালনা করেন।

সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আহমেদ মাঈনুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, অভিযানের দ্বিতীয় দিন নোয়াখালে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। খালটির ওপর ১২ থেকে ১৫টি স্থাপনা রয়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত অভিযান চলবে।

নোয়াখালে চলছে উচ্ছেদ অভিযান।  ছবি: উজ্জ্বল ধর‘পর্যায়ক্রমে নগরের ১৩টি খালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এ অভিযান আগামী দুইমাস পর্যন্ত চলবে। ’

সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী বাংলানিউজকে বলেন, খালগুলোর ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। সিডিএকে আমরা সহযোগিতা করছি।

সিডিএ সূত্র জানায়, ওই খালে বহুতল ভবনসহ একাধিক সেমিপাকা ঘর রয়েছে। উচ্ছেদে অভিযান এসব স্থাপন সরানো হবে।

নোয়াখালে চলছে উচ্ছেদ অভিযান।  ছবি: বাংলানিউজপ্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএ’র সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর খালের উভয়পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করে। পাশাপাশি খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমও শুরু হয়।

নোয়াখালে চলছে উচ্ছেদ অভিযান।  ছবি: উজ্জ্বল ধরডিপিপি অনুযায়ী গৃহীত এ মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালে ৩৬টি খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ১০০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ২০২০ সালের মধ্যে নগরে ৩৬টি খাল খনন, খালের পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধক দেয়াল, ৮৫ কিলোমিটার সড়ক, ৪২টি সিল্ট ট্র্যাপসহ নানা অবকাঠামো নির্মাণ করার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০১৯
এসইউ/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad