ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রাজাখালী খালের ১ কিলোমিটার জায়গা উদ্ধার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০১৯
রাজাখালী খালের ১ কিলোমিটার জায়গা উদ্ধার রাজাখালী খালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: রাজাখালী খালের ওপর গড়ে ওঠা ২৬টি অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে খালটির প্রায় ১ কিলোমিটার জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত কল্পলোক আবাসিকের পাশে খালটিতে অভিযান চালিয়ে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

> সেনাবাহিনীর সহায়তায় খাল উদ্ধার অভিযান শুরু

জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘মেগা প্রকল্প’ বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুল আলম চৌধুরী এ অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী, সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আহমেদ মাঈনুদ্দিনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

রাজাখালী খালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ।                                             <div class=

ছবি: সোহেল সরওয়ার" src="https://www.banglanews24.com/media/imgAll/2019May/bg/cda-bg220190702203655.jpg" style="margin:1px; width:100%" />প্রকল্প পরিচালক আহমেদ মাঈনুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমদিন কল্পলোক আবাসিকের পাশে রাজাখালী খালের ওপর গড়ে ওঠা ২৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এরমধ্যে কিছু স্থাপনা স্থানীয় বাসিন্দারা স্ব-উদ্যোগে ভেঙে ফেলেছেন। এসব স্থাপনা উচ্ছেদের পর অবৈধভাবে দখল হওয়া খালটির ১ কিলোমিটার জায়গা উদ্ধার হয়েছে।

আহমেদ মাঈনুদ্দিন আরও বলেন, বুধবার (৩ জুলাই) নোয়াখালের ওপর গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। খালটির ওপর ১২ থেকে ১৫টি স্থাপনা রয়েছে।

‘পর্যায়ক্রমে নগরের ১৩টি খালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এসব খালের ওপর প্রায় ১৬শ স্থাপনা রয়েছে। অভিযান চলবে আগামী দুই মাস। ’

সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী বাংলানিউজকে বলেন, খালগুলোর ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। সিডিএকে আমরা সহযোগিতা করছি। পাশাপাশি উচ্ছেদের পর জায়গাগুলো অধিগ্রহণ করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর খালের উভয় পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করে। পাশাপাশি খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমও শুরু হয়।

ডিপিপি অনুযায়ী গৃহীত এ মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালে ৩৬ খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ১০০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ২০২০ সালের মধ্যে নগরে ৩৬টি খাল খনন, খালের পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধক দেয়াল, ৮৫ কিলোমিটার সড়ক, ৪২টি সিল্ট ট্র্যাপ নানা অবকাঠামো নির্মাণ করার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১৯
এসইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।