মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে এ কমিটি গঠন করে দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
ইউএসটিসির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দিলীপ কুমার বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনেন একদল শিক্ষার্থী। তার বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা।
গায়ে কেরোসিন দেয়ার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা যা বলেছেন
অভিযোগ উঠেছে, বিক্ষোভের মধ্যে একদল শিক্ষার্থী ৫ম তলায় অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের অফিস কক্ষে গিয়ে তাকে নিচে টেনে এনে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেন।
এ বিষয়ে আন্দোলনরত দুজন শিক্ষার্থী বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন। ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাশেদ উন নবী চৌধুরী বলেন, অফিস থেকে টেনে এনে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেয়ার অভিযোগ মিথ্যা। তিনি নিজেই নিচে নেমে এসেছেন। এসময় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছিল। ওই সময়ে তার গায়ে কেরোসিনের ছিটকে পড়েছে হয়তো।
তিনি বলেন, স্যার ৫ম তলা থেকে লিফটে নামছিল। ওই সময়ে স্যারের সঙ্গে আন্দোলনরত কয়েকজন ছাত্রী এবং আমিও ছিলাম। লিফটে স্যার বলছিলেন, ‘‘তোমরা যে আমার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছ, আমি যদি এখন তোমাদের খারাপ কিছু করি’’।
আরেক শিক্ষার্থী শেখ রাসেল বলেন, তিনি যা পড়াতেন তা বই সংশ্লিষ্ট ছিলো না। যৌন হয়রানিমূলক বিভিন্ন বক্তব্য দিতেন ক্লাসে। তাই তার বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন ছিলো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বাংলানিউজকে বলেন, গায়ে কেরোসিন দেয়ার অভিযোগ তদন্ত করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূরে আলম সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে জানতে অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
খুলশী থানার ওসি প্রনব চৌধুরী বলেন, শিক্ষকের গায়ে কেরোসিন দেয়ার অভিযোগে মাহমুদুল হাসান নামে এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১৯
জেইউ/টিসি