রোববার (৩০ জুন) বিকেলে বিশ্বকলোনী এন ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার মহসিন বিশ্বকলোনী এম ব্লকের বাসিন্দা।
গুরুতর আহত যুবলীগ কর্মী মহসিন বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আটক পাঁচজন হলো- মো. মাসুদ (১৮), মো. মিরাজ (১৭), মো. সাজু (২৪), মো. বেলাল (২০) ও মো. তারেক (১৮)।
আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্বকলোনী এন ব্লকে মহসিন নামে এক যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধরের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে আটক করেছে।
তবে এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার থানায় এখনও কোনো মামলা দায়ের করেনি বলে জানান ওসি।
মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ বাংলানিউজের হাতে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, দাঁড়িয়ে থাকা মহসিনকে অতর্কিত এসে মারধর শুরু করে ১২-১৫ জনের একটি দল। মহসিন তাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে চারপাশ থেকে ঘিরে রড ও লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে তারা। পরে মারা গেছে ভেবে মহসিনকে ফেলে রেখে যায়।
মারধরের সময় এদের মধ্যে একজন মহসিনের পা ধরে রাখে। ওই যুবকের নাম চৌধুরী জুয়েল বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। জুয়েলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া ভিডিও ফুটেজ দেখে তুহিন, রাব্বী, পারভেজ, ফারহান ও খোকন নামে আরও কয়েকজনকে শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হামলায় জড়িতরা উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্থানীয় কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমের অনুসারী বলে জানা গেছে।
উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার মোর্শেদ কচি বাংলানিউজকে বলেন, জহুরুল আলম জসিমের নির্দেশে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে তার অনুসারীরা। মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর করা হয়েছে মহসিনকে।
অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম বাংলানিউজকে বলেন, মহসিনের গ্রুপের লোকেরাই তাকে মারধর করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো কর্মী জড়িত নয়। আহত মহসিনকে সন্ত্রাসী বলেও দাবি করেন কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম।
এর আগে শনিবার (২৯ জুন) সরওয়ার মোর্শেদ কচি গ্রুপের কর্মী মামুনকে মারধর করে কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমের অনুসারী বেলাল উদ্দিন জুয়েল ও তার সঙ্গীরা। পরে মামুনের বন্ধুরা গিয়ে বেলাল উদ্দিন জুয়েলকে তার ঘরে ঢুকে মারধর করে। আহত বেলাল উদ্দিন জুয়েল ও মামুন দুইজনই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৯
এসকে/এসি/টিসি