ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাড়ে ৪৩ হাজার কোটি টাকা আদায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৪ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৯
সাড়ে ৪৩ হাজার কোটি টাকা আদায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে

চট্টগ্রাম: দেশের সবচেয়ে বড় রাজস্ব আদায় কেন্দ্র চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় করেছে সাড়ে ৪৩ হাজার কোটি টাকা। যদিও লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৭ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪৪ লাখ ৬৭৭ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছিল ৪২ হাজার ৩৪৪ টাকা।

বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম।

তিনি বলেন, শনিবার (২৯ জুন) পর্যন্ত কাস্টম হাউসের রাজস্ব আদায় ছিল ৪৩ হাজার ২১১ কোটি টাকা।

অর্থবছরের শেষ দিন আরও কয়েকশ’ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হচ্ছে। তবে পরিপূর্ণ হিসাব পেতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে।

তিনি বলেন, সিডি, আরডি, এসডি, ভ্যাট এবং জরিমানা খাতের টাকা কাস্টম হাউসের হিসাবে দেখানো হয়। এর বাইরে এআইটি ও অ্যাডভান্স ট্রেড ভ্যাট (এটিভি) খাতেও রাজস্ব আহরণ করা হয় কাস্টম হাউসে। তবে সেটি আয়কর বিভাগে জমা দেওয়া হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত এ আইটি খাতে আদায় হয়েছে ৫ হাজার ৫৯৪ টাকা, এটিভি আদায় হয়েছে ৩ হাজার ৯১৬ টাকা।

লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়া প্রসঙ্গে কাস্টম হাউসের কমিশনার বলেন, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি চোরাচালান রোধ, জাতীয় নিরাপত্তা, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও রফতানি বৃদ্ধি, ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ চেন স্বাভাবিক রাখা, কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস কমানোসহ অনেক বিষয়ে নজর রাখতে হয় কাস্টম হাউসকে। এরপরও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার পেছনে কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গাড়ির মতো উচ্চশুল্কের পণ্য আমদানি কমে যাওয়া, স্থানীয় ইলেকট্রনিকস কোম্পানির জন্য পার্টস আমদানি বৃদ্ধি, মোটরসাইকেলের ১০-১২টি কারখানা গড়ে ওঠায় বিভিন্ন এসআরও’র আওতায় সিকেডি (বিযুক্ত) আমদানি বেড়ে যাওয়া, তেল আমদানিতে লক্ষ্য পূরণ না হওয়া, জাতীয় নির্বাচন ইত্যাদি।

নতুন অর্থবছরে পুরোদমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পরিকল্পনা নিয়েছেন জানিয়ে কাস্টম কমিশনার বলেন, দেশে ক্রমবর্ধমান আমদানি-রফতানির মধ্যেও অনুমোদনের চেয় কম জনবল নিয়ে কাজ করছি আমরা। দক্ষ, প্রশিক্ষিত কর্মকর্তা চেয়েছি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে। কারণ পণ্যচালান আটকে রাখার সুযোগ নেই। বিল অব এন্ট্রি দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তি করতে চাই। কারণ পণ্য ছাড়ে এক দিন দেরি হওয়া মানে মাশুল গুণতে হয় আমদানিকারককে। তৈরি পোশাক খাতের আমদানি পণ্যকে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। কারণ তারা প্রতিযোগিতা করে আন্তর্জাতিক বাজারে। চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য আমরা ২টি নতুন স্ক্যানার আনছি। এর মধ্যে একটি চীন থেকে শিপমেন্ট হয়েছে। আরেকটিও হয়ে যাবে। কাস্টম মর্ডানাইজেশনের অধীনে ডব্লিউসিও থেকে একটি স্পেক্টোমিটার পেতে যাচ্ছি। যা অনেক কেমিক্যাল দ্রুততার সঙ্গে পরীক্ষা করতে পারবে।    

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৯
এআর/টিসি

 

  

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।