শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে লালখানবাজার কর্নার হোটেলের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে জড়িতরা লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলালের অনুসারী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আহতরা হলেন- মনির হোসেন (৪০), সোহেল (২৩), সুমন (১৮) ও ইমন (১৭)। তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রযেছেন বলে জানান হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক হামিদুর রহমান।
সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে দুই গ্রুপের ছোঁড়া ঢিলের আঘাতে আহত অপর তিন জন পুলিশ সদস্যের নাম পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় কয়েকজন আহত হন। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার ফের সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রুপ। এ সময় উভয় গ্রুপ ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রনব চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, দিদারুল আলম মাসুম ও আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলালের অনুসারী দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চার রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে দুই গ্রুপের ছোঁড়া ঢিলের আঘাতে আহত তিন জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওসি প্রনব চৌধুরী।
তবে দিদারুল আলম মাসুম বাংলানিউজের কাছে দাবি করেছেন, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলালের অনুসারীরা শনিবার তার কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা করেছেন। তার অফিসে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করা হয়েছে। হামলার সময় তিনি বাসায় অবস্থান করছিলেন। তার কর্মীরা হামলা থেকে বাঁচতে বেলালের অনুসারীদের প্রতিরোধ করেছেন।
জানতে চাইলে আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার রাতে আমার কর্মী সাইদুলকে মেরে আহত করে দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে পুলিশের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে শনিবার বিকেলে মিছিল বের করলে বাঘঘোনা কাঁচাবাজার এলাকায় তারা হামলা করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৯
এসকে/টিসি