ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে (ইডিইউ) বাংলাদেশ জাতীয় বাজেট ২০১৯-২০ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মু. সিকান্দার খান এসব কথা বলেন।
স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মুহাম্মদ রকিবুল কবিরের সভাপতিত্বে বুধবার (২৬ জুন) বিকেল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের সেমিনার হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মূল বক্তা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম বলেন, এবারের বাজেট এর আগের বছরগুলোর বাজেটের ধারাবাহিকতা মাত্র। সবাই এ বাজেটকে উচ্চাভিলাষী বললেও, অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে তা মোটেই নয়।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার সাথে প্রযুক্তিকে যুক্ত করে বরাদ্দ দেখানো হয়েছে। আলাদাভাবে শিক্ষায় বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ২.১ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত বছরের তুলনায় কম। এছাড়া স্বাস্থ্যখাতের বরাদ্দ মাত্র ৪.৯৯ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়।
বিশেষ বক্তা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, জিডিপি বৃদ্ধি অনেক বড় অর্জন, তার জন্য বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বড় ভূমিকা রেখেছে। এতে মাথাপিছু আয় অল্প হলেও বেড়েছে। কিন্তু অর্থনীতিকে হতে হবে জ্ঞাননির্ভর। বর্তমানে গ্র্যাজুয়েটের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেলেও শিক্ষার মান বাড়ছে না। বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানো সবচেয়ে বেশি জরুরি।
সভাপতির বক্তব্যে ড. রকিবুল কবির বলেন, শিক্ষাখাতে, বিশেষত গবেষণা খাতে বরাদ্দ খুবই কম এবারের বাজেটে। এছাড়া এ বাজেটে পুঁজিবাজারে স্টক ডিভিডেন্টে কর বসানোর সিদ্ধান্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমিয়ে দিতে পারে।
অর্থনীতির সহকারী অধ্যাপক অনন্যা নন্দীর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সামস উদ-দোহা, রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মো. নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
এসি/টিসি