ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জাহানারা ইমামের আন্দোলন বাঙালিকে আশান্বিত করেছিল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩২ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
জাহানারা ইমামের আন্দোলন বাঙালিকে আশান্বিত করেছিল শহীদজননীর মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রমার শ্রদ্ধাঞ্জলি

চট্টগ্রাম: প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বরেণ্য সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন বলেছেন, বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ কীর্তি মুক্তিযুদ্ধ। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাল্টে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। তৎপরবর্তী জাহানারা ইমাম যুদ্ধাপরাধবিরোধী আন্দোলন শুরু করেছিলেন। এই আন্দোলন বাঙালিকে আশান্বিত করেছিল।

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের আয়োজনে বুধবার (২৬ জুন) চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  

প্রমার সভাপতি রাশেদ হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা করেন শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহ্ফুজুর রহমান, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রাম ও খেলাঘর সভাপতি প্রফেসর ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম।

বেগম মুশতারী শফী বলেন, জাহানারা ইমাম নিজের স্বামী পুত্রকে হারিয়ে একাত্তরের ঘাতকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন থেকে কখনো পিছিয়ে যাননি।

ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারলে জাহানারা ইমামের আন্দোলন সার্থক হবে।

ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রতিনিয়ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে, এ জন্য তরুণদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

রাশেদ হাসান বলেন, জাতির যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে জাহানারা ইমাম সবসময় আলোর মশাল হাতে জাতিকে পথ দেখিয়েছেন। জাহানারা ইমামের গঠিত গণআদালতের মাধ্যমেই আজকের বাংলাদেশে শুরু হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া। জাহানারা ইমামের আদর্শকে বুকে ধারণ করে প্রগতিশীল তরুণ সমাজ এ বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।

প্রমার সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ পালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শহীদজননীর শেষ উচ্চারণ পাঠ করেন মামুরা মমতাজ দীপা, শহীদ জননীকে নিবেদিত কবিতা পাঠ করেন কংকন দাশ, মোহিত বিশ্বাস, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা সাগর, মাহাবুবুর রহমান মাহফুজ, দেবাশীষ রুদ্র, শব্দনোঙর আবৃত্তি সংগঠনের দিলরুবা খানম, বোধন আবৃত্তি পরিষদের সঞ্জয় পাল, সন্দীপনার পক্ষে মেজবাহ উদ্দিন, কামনাশীষ চক্রবর্তী, প্রিয়ম কৃষ্ণ দে।

বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে প্রমা আবৃত্তি সংগঠন, ত্রিতরঙ্গ আবৃত্তি দল, কণ্ঠনীড় ও নির্মাণ আবৃত্তি অঙ্গন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।