৫১০ জন স্বর্ণ ব্যবসায়ী (ব্যক্তি) ও ৫টি প্রতিষ্ঠান এসব ঘোষণা দেন। এর বিপরীতে আয়কর জমা হয়েছে ১০ কোটি ৩১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪৬ টাকা।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে বাংলানিউজকে এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন স্বর্ণমেলার তথ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত কর কমিশনার (আপিল রেঞ্জ-১) মো. মাহমুদুর রহমান।
মেলার দ্বিতীয় দিন সোমবার (২৪ জুন) চট্টগ্রামে ৬ হাজার ২২৭ ভরি স্বর্ণ, ১ ক্যারেট হীরা, ২ হাজার ৩৯৫ ভরি রৌপ্যের ঘোষণা দিয়েছেন ৬৬ জন স্বর্ণ ব্যবসায়ী।
মেলার প্রথম দিন রোববার (২৩ জুন) চট্টগ্রামে ৮২৯ ভরি স্বর্ণ, ২ দশমিক ৫ ক্যারেট হীরা ও ১৭০ ভরি রৌপ্যের বিপরীতে আয়কর জমা পড়েছে ৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
নগরের আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিকের পিএইচপি পেলিকান মেহজাবিন ভবনে রোববার (২৩ জুন) স্বর্ণমেলা শুরু হয়। আয়কর বিভাগ আয়োজিত এ মেলায় নিবন্ধিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের অঘোষিত ও মজুদ স্বর্ণ, স্বর্ণালংকার, কাট ও পলিশড ডায়মন্ড এবং রৌপ্যের ঘোষণার বিপরীতে কর পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয়। প্রতি ভরি স্বর্ণে ১ হাজার টাকা, রৌপ্যের জন্য ৫০ টাকা, প্রতি ক্যারেট কাট ও পলিশড ডায়মন্ডের জন্য ৬ হাজার টাকা কর পরিশোধ করতে হয় সংশ্লিষ্টদের।
মেলায় স্বর্ণ ব্যবসায় জড়িত নতুন করদাতাদের ইটিআইএন প্রদান, চট্টগ্রামের প্রতিটি কর অঞ্চলের জন্য পৃথক বুথে ঘোষণা ফরম গ্রহণ, আয়কর পরিশোধের জন্য সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের বুথ ও পরামর্শ কেন্দ্র থেকে সেবা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি চট্টগ্রামের সভাপতি মৃণাল কান্তি ধর বাংলানিউজকে বলেন, প্রথম স্বর্ণমেলাকে ঘিরে চট্টগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। মেলার শেষ দিন প্রচুর স্বর্ণ ব্যবসায়ী লাইনে দাঁড়িয়েও ঘোষণা দিতে পারেনি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৩০ জুন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর অঞ্চলে ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ স্বর্ণ, হীরা, রৌপ্য ঘোষণা দিয়ে আয়কর জমা দিতে পারবেন।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম নগরে ৫ হাজার ২০০ জুয়েলারি দোকান রয়েছে। এর মধ্যে বৈধ ১ হাজার ৭০০টি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
এআর/টিসি