মঙ্গলবার (২৫ জুন) নগরের আগ্রাবাদের বাদামতলির মোড় থেকে অলী উল্লাহ ওরফে সুমন (৩২) নামের ওই কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি পূর্বাঞ্চলের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজারের কার্যালয়ের সহকারী দাবি পরিদর্শক (এসিআই)।
দুদক চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মাহবুবুল আলম বাংলানিউজকে জানান, ঘুষ ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে অলী উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।
দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনের দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৬ সালে অলী উল্লাহর বন্ধু মিজানুর রহমান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ৭টি পদে আবেদন করেন। যাতে ঠিকানা হিসেবে অলী উল্লাহর অফিসের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়। এ সময় নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে রশিদ মূলে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা নেন অলী উল্লাহ। তার সোনালী ব্যাংকের সিআরবি শাখার হিসাবে ২০১২-২০১৮ সাল পর্যন্ত ১ কোটি ৩১ লাখ ৭ হাজার ৪৮৭ টাকা জমা হয়েছে যার নির্দিষ্ট উৎস নেই। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড স্টেশন রোড শাখায় ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪৮১ টাকা জমা হয়েছে। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জে ৫ শতক জমিও কিনেছেন অলী উল্লাহ।
অলী উল্লাহর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৬৩/৪২০ সহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
এআর/টিসি