বৃহস্পতিবার (২০ জুন) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আয়োজিত তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে অবেক্ষণ ও পরিবীক্ষণ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার অফিস এ সভার আয়োজন করে।
সুরাইয়া বেগম বলেন, জনগণের চাহিদামত তথ্য প্রদানে গড়িমসি করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। তবে যে তথ্য প্রদান করলে রাষ্টের ক্ষতি হবে সে তথ্য দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ প্রণীত হয়। তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও জনগণের তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করতে এ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়নের পথ সুগম হয়েছে।
তথ্য কমিশনার বলেন, সকল নাগরিকের তথ্য চাওয়ার অধিকার আছে। জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা গেলে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও বেসরকারি সংস্থাগুলোতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে। দুর্নীতি হ্রাস পাবে। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। সরকারের নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে কমিটি করে দেয়া হয়েছে। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জনগণের চাহিদামত তথ্য প্রদান করছে কী না- তা কমিটির প্রধানকে নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। তাহলে এ আইন আরও বেশি কার্যকর হবে- বলেন এ কর্মকর্তা।
বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ বিষয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন দেন তথ্য কমিশনের পরিচালক ড. মো. আবদুল হাকিম ও প্রোগ্রামার তরিকুল ইসলাম।
বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকারের বিভাগীয় পরিচালক দীপক চক্রবর্তী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
এমআর/টিসি