ইতিমধ্যে নগর পরিকল্পনা বিভাগসহ কিছু কিছু বিভাগের আসবাব, নথিসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে টাইগারপাসে ‘বস্তিবাসীর ফ্ল্যাট’ হিসেবে পরিচিত ভবনটিতে। মেয়রের দফতরের শোকেসসহ বেশ কিছু আসবাবপত্র প্যাকিং করা হয়েছে টাইগারপাসে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
>> নগর ভবনের ফটক থাকবে সিরাজউদ্দৌলা সড়কেও
চসিকের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, শনিবার (২২ জুন) পুরোনো ভবন থেকে ইন্টারনেট, টেলিফোন, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ক্যাবল (তার) খুলে টাইগারপাসে সেট করা হবে।
টাইগারপাসে চসিকের বহুতল ভবনের দোতলায় থাকবে মেয়রের অস্থায়ী দফতর। কাছাকাছি থাকবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সচিবের দফতরও। তিনতলায় প্রকৌশল বিভাগ। চারতলায় নগর পরিকল্পনা বিভাগসহ অন্যান্য অফিস। নিচতলায় সিকিউরিটি, স্টোর ইত্যাদি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মেয়র বাংলানিউজকে বলেন, সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী অনেক উদ্যোগ নিয়েছিলেন নগর ভবন তৈরির। এমনকি পাইলিংও করা হয়েছিল। কিন্তু নানা কারণে সেটি সম্ভব করতে পারেননি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর পুরোনো ভবন ভেঙে আইকনিক একটি নগর ভবন তৈরির উদ্যোগ নিই। ইতিমধ্যে নকশা, প্রাক্কলনসহ অনেক বিষয় চূড়ান্ত হয়েছে। শিগগির দরপত্র আহ্বান করা হবে। ১৬০ কোটি টাকার মতো ব্যয় হবে পরিবেশবান্ধব, আধুনিক নগর ভবনটি তৈরি করতে।
মেয়র বলেন, পুরোনো ভবনটি অনেক আগেই উপযোগিতা হারিয়েছিল। ৬৫ লাখ মানুষের নাগরিকসেবা নিশ্চিত করার উপযোগী ছিল না। গাদাগাদি করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসতে হতো। হাঁটাচলার পথে আলমারি, আসবাব, নথিপত্রের স্তূপ ছিল। পিচ বোর্ডের পার্টিশান দিয়ে কোনো রকমে দাপ্তরিক কার্যক্রম চালাতে হচ্ছিল কর্মকর্তাদের। নতুন ভবন নির্মাণের অংশ হিসেবে সাময়িকভাবে দপ্তর স্থানান্তর করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আন্দরকিল্লা থেকে চসিকের সব বিভাগ সেখানে স্থানান্তর করা হবে। এরপর পুরোনো ভবন ভাঙা হবে।
তিনি বলেন, নগরের প্রাণকেন্দ্র টাইগারপাসে চসিক কার্যালয় অস্থায়ীভাবে স্থানান্তর করায় নগরবাসীর অসুবিধা হবে না। চসিকের বেশিরভাগ কাজ অটোমেশনের আওতায় চলে আসায় নগরবাসী সুফল ভোগ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৯
এআর/টিসি