শুক্রবার (১৪ জুন) শ্রীলংকা থেকে আমদানি পণ্যভর্তি কনটেইনার নিয়ে বন্দরের বহির্নোঙর থেকে জেটিতে আসার পথে পতেঙ্গায় বন্দর ছেড়ে যাওয়া কুয়েতের অয়েল ট্যাংকার ‘এমটি বুরগান’র সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় জাহাজ দুইটি জটিলভাবে একটির সঙ্গে অন্যটি আটকে যায়।
সর্বশেষ রোববার (১৬ জুন) দুর্ঘটনার ২ দিন পর বন্দরের নৌ-প্রকৌশল বিভাগ জাহাজ দুইটি আলাদা করতে সক্ষম হয়। ওই দিনই জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের জিসিবি-১২ বার্থে ভিড়ানোর পর শুরু হয় কনটেইনার খালাসের কাজ।
বন্দরের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, জাহাজ দুইটি আলাদা করার পর এক্সপ্রেস মহানন্দাকে জেটিতে নিয়ে এসে কনটেইনার খালাসের কাজ শুরু হয়। যা শেষ হয় বুধবার (১৮ জুন)। এরপর জাহাজটি কাফকো জেটিতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে প্রাথমিক মেরামত কাজ চলবে। অপর জাহাজ এমটি বুরগান ডলফিন জেটিতে রয়েছে। সেখানে প্রাথমিক মেরামত কাজ শেষে ছাড়পত্র পেলে কুয়েতের উদ্দেশে যাত্রা করবে।
তিনি জানান, জাহাজ দুইটির স্থানীয় এজেন্টের কাছ থেকে পাইলট ফি, টাগবোট ফিসহ আনুষঙ্গিক ফি আদায় করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এক্সপ্রেস মহানন্দার স্থানীয় এজেন্ট সী কনসোর্টিয়াম লিমিটেডের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, সিঙ্গাপুরের প্রিন্সিপাল (জাহাজের মূল মালিক প্রতিষ্ঠান) অফিস থেকে জাহাজটি ভাড়া করেছিলাম আমরা। দুর্ঘটনার কারণে প্রচুর লোকসান হচ্ছে। যদিও আমদানিকারকদের কনটেইনার ও কার্গোর কোনো ক্ষতি হয়নি।
তিনি জানান, জাহাজটির ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম প্রিন্সিপালের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্পন্ন করা হবে। এর সঙ্গে বিমা, আইন, ক্ষতিপূরণ আদায়সহ অনেক বিষয় জড়িত।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৯
এআর/টিসি