ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জুলাইয়ে খাল উদ্ধারে নামছে সেনাবাহিনী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৮ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৯
জুলাইয়ে খাল উদ্ধারে নামছে সেনাবাহিনী ....

চট্টগ্রাম: নগরের খালগুলোর ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে শুরু হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘মেগা প্রকল্প’ বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এ অভিযান পরিচালনা করবে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন শীর্ষক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিডিএ সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী, সিডিএ চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ, সিডিএ সচিব তাহের ফেরদৌসসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা এবং সিডিএ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, পিডিবিসহ সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী বাংলানিউজকে বলেন, জুলাইয়ের শুরুতে খালগুলোর ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে।

পাশাপাশি ভূমি অধিগ্রহণের কাজও শুরু হবে।

‘এটি একটি বৃহৎ প্রকল্প। এর সঙ্গে চট্টগ্রামবাসীর জলাবদ্ধতা ভোগান্তি থেকে মুক্তির বিষয়টি জড়িত। সভায় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। আশাকরি উচ্ছেদ অভিযান সফল হবে। ’

সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আহমেদ মাঈনুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে নগরের ১৩টি খালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করবে সেনাবাহিনী।

এর আগে গত ০৪ মে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভায় মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী  বলেন, মেগা প্রকল্পের আওতাধীন খালগুলোর ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শিগগির শুরু করবে সেনাবাহিনী। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর খালের উভয় পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করে। পাশাপাশি খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমও শুরু হয়।

ডিপিপি অনুযায়ী গৃহীত এ মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালে ৩৬ খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ১০০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ২০২০ সালের মধ্যে নগরে ৩৬টি খাল খনন, খালের পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধক দেয়াল, ৮৫ কিলোমিটার সড়ক, ৪২টি সিল্ট ট্র্যাপ নানা অবকাঠামো নির্মাণ করার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৯
এসইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।